প্রতিমন্ত্রীকে কটুক্তি, মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের একাংশের বর্ধিত সভা

প্রতিমন্ত্রীকে কটুক্তি, মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের একাংশের বর্ধিত সভা

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন ‘যারা দলের শৃঙ্খলা বিরোধী কাজ করে দলকে ছোট করেছে তাদের বিরুদ্ধে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে। একটি বড় দলে নেতাদের মধ্যে বিভেদ থাকতে পারে, সেটা দলীয় ফোরামে প্রকাশ করার জন্য আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। গতকাল যারা সংবাদ সম্মেলন করেছে তারা দল বিরোধী কাজ করেছে উপরন্তু আরও ঘোষণা দিচ্ছে ভবিষ্যতে আবারো করবে। ‘

৪ অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যায় মেহেরপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টার হল রুমে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন।

৩ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন না দিতে জেলা আওয়ামী লীগের একাংশ সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করে। সেই মত বিনিময় সভায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের অপরাংশের আায়েজনে জেলা আওয়ামী লীগের এই বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে(ভার্চুয়ালি) বিশেষ বর্ধিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মেহেরপর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস,সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট ইব্রাহিম শাহিন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বোরহান উদ্দীন আহম্মেদ চুন্নু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম,মহজনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, শ্যামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতিন,বাগোয়ান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল সালাম বাঁধন, মুজিবনগর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা তাসলিমা খাতুন প্রমূখ।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে আরও বলেন, ‘যারা দল বিরোধী কর্মকাণ্ড করছেন এবং দলবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন তাদের সকল বক্তব্য রেকোর্ডেড। এগুলোসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় যে খবর এসেছে সেগুলোও দলের নীতি নির্ধারকদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। গতকাল সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বক্তব্য দিয়েছেন কাউন্সিলে মাত্র একটি ভোট পেয়েছিলেন। জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। আমরা যদি একটু খোঁজ নেই তবে দেখতে পাবো তার শিক্ষা দীক্ষা এবং রাজনৈতিক জ্ঞান কতটুকু। আগামী নির্বাচনে আমরা মেহেরপুরে দুইটি আসন থেকেই নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করব।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলীর সভাপতিত্বে ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশানের সঞ্চালনায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভাতে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপ কমিটির সদস্য এম এ এস ইমন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জেমস স্বপন মল্লিক, মেহেরপুর পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান চাদু, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর আল মামুন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা, যুবলীগের সদস্য সাজেদুল ইসলাম সাজু প্রমুখ। সে সময় তারা জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন না দেওয়ার দাবীতে একাট্টা হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন।