প্রস্রাবে যেসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাবেন

এটি নারীদেরই সাধারণত হয়। পুরুষদের কমই দেখা যায়। তবে ১ম ১ বছর এবং ষাটোর্ধ্বদের ক্ষেত্রে হতে পারে।

কেন নারীদের বেশি হয়?

-তাদের মূত্রনালী আকারে ছোট হয়।

-এটি মলদ্বারের নিকটবর্তী, তাই সেখান থেকে জীবাণু প্রবেশ করতে পারে।

-প্রোস্টেট গ্লান্ড থেকে পুরুষদের এক ধরনের তরল নিঃসৃত হয় যা ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে পারে। নারীদের ক্ষেত্রে তার অনুপস্থিতি।

এছাড়া যৌনমিলনের সময় মূত্রনালীতে আঘাত লাগতে পারে তখন পেরিনিয়াম থেকে মূত্রথলীতে জীবাণু প্রবেশ করে এ রোগটি হতে পারে।

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়:

-যারা বিভিন্ন কারণে মূত্রথলী পরিপূর্ণভাবে খালি করতে পারেন না।

– মূত্রনালীতে যদি ক্যাথেটার করা থাকে। কিডনি, মূত্রথলি কিংবা মূত্রনালীতে যদি পাথর জমা হয়।

– যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, যেমনঃ মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া নারী ও ডায়াবেটিস রোগী।

লক্ষণসমূহ:

১। হঠাৎ করে ঘনঘন প্রস্রাব পাওয়া।

২। প্রস্রাব করার সময় খুব জ্বালাপোড়া হওয়া ।

৩। প্রস্রাব করার সময় অথবা শেষে তলপেটে ব্যথা অনুভব করা।

৪। প্রস্রাব করা শেষে পুরোপুরিভাবে প্রস্রাব হয়নি, কিছু থেকে গিয়েছে এরকম অনুভব করা।

৫। প্রস্রাব কখনও কখনও ধোঁয়াচ্ছন্ন হতে পারে, দুর্গন্ধযুক্ত হতে পারে।

৬। কখনও কখনও প্রস্রাবের সাথে রক্ত যেতে পারে।

চিকিৎসা

উপযুক্ত এন্টিবায়োটিক এক্ষেত্রে প্রধান চিকিৎসা। তবে বলে রাখা ভালো, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিজেরা কিংবা ফার্মেসিওয়ালাদের কাছ থেকে যেকোনো এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করা বিপজ্জনক হতে পারে। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে বলা হয়ে থাকে।

যাদের বারবার এই রোগটি হয় তারা এটি প্রতিরোধের জন্য যা করতে পারেঃ

– দিনে অন্ততপক্ষে ২ লিটার তরল পান করা।

– প্রস্রাব চেপে না রেখে নিয়মিত মূত্রথলী খালি করা।

– পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখা।

– যৌনমিলনের আগে ও পরে প্রস্রাব করে নেয়া।