ফলোআপ : গাংনীতে জোড়া খুনের ঘটনায় দুটি মামলা।

মেহেরপুরের গাংনীর কাজিপুরে একটি লিচু বাগান দখলকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংঘর্ষে জোড়া খুনের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে উভয় পক্ষ । গত রবিবার মৃত ইচমত কবির ডাবলু’র মা ইসলামা খাতুন (৬০) বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১০ জন এজাহার নামীয়সহ অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনকে আসামী করা হয়েছে। যার নং-১৬/২০ তারিখ ঃ ১৭/০৫/২০২০ ইং । ধারা ঃ ১৪৩, ৩৪১, ৩২৩, ৩২৪, ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ৩০২/৩৪, ৫০৬, ১১৪ ও ১০৯ (দন্ডবিধিঃ)

অপরদিকে একই দিনে নিহত সানারুল ইসলামের স্ত্রী রশিদা বেগম বাদী হয়ে ২ জনকে আসামী করে অপর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। যার নং-১৭/২০ তারিখ ঃ ১৭/০৫/২০২০ ইং
ধারা ঃ ৩০২/৩৪ (দন্ডবিধিঃ)

মামলার এজাহারসুত্রে ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম জানান, মামলার ঘটনাস্থলের পাশে কাজিপুর গ্রামস্থ কেএনএসএইচ বালিকা বিদ্যালয় ও কে এস এইচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর দক্ষিণ পাশে তিন বিঘা জমিতে ডাবলুর পিতা খবির জনৈকা আশরাফন নেছার নিকট হতে ক্রয়সূত্রে মালিক দাবী করে অনুমান ৩০ বছর দখলে রাখাসহ আম ও লিচু করিয়া ভোগ দখল করে আসছে।

২০১৪ সালে আশরাফন নেছার মেয়ে আকলিমা খাতুন উক্ত আম লিচু বাগানের সম্পুর্ণ বিক্রী করে নাই বলে অংশিদারিত্ব দাবী করে এবং এ বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলার পর জমির ভোগ দখলে স্থানীয় লাল্টুকানা ও হাবিব মেম্বর ও সানারুল আকলিমার পক্ষ নিয়ে খবিরকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। ঘটনার দিন উক্ত জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে স্থানীয় মোশারফের বাঁশবাগানের মধ্যে মারামারির ঘটনায় প্রতিপক্ষের আঘাতে ডাবলুর মৃত্যু হয় ও পিতা খবির মারাত্মক আহত হয়।

আহত খবির কে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেলে ভর্তি করেন। আহত খবির উদ্দিন বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অপরদিকে প্রতিপক্ষের আঘাতে সানারুল ইসলাম মারাত্মক আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাহেবনগর বাজারে নিয়ে আসলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি, অতিঃ পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শেখ জাহিদুল ইসলাম, অতিঃ পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোস্তাফিজুর রহমান, গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে নিহত ব্যাক্তিদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে উভয় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে ।

গাংনী থানার ওসি তদন্ত সাজেদুল ইসলাম জানান, পৃথক দুটি মামলায় তদন্তকারি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নিয়োজিত থেকে শতভাগ শততার সাথে তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত ব্যাতিত কেউ যেন হয়রানী না হয় সে বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে।

গাংনী থানার ওসি মোঃ ওবাইদুর রহমান জানান. যেহেতু জোড়া খুন মামলায় পৃথক পরিবার মামলা করেছে। সেহেতু সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা সম্ভব হবে। তিনি নিশ্চিত করে বলেন, প্রকাশ্যে মারামারির ঘটনায় উভয় পক্ষের দুই জন নিহত হয়েছে। সঠিক তদন্ত করা হবে।