ফিলিপনগর হতে চিলমারী পর্যন্ত নতুন রাস্তা নির্মাণের উদ্বোধন করলেন এমপি সরওয়ার জাহান বাদশাহ

দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) প্রকল্পের আওতায় ফিলিপনগর হতে চিলমারী পর্যন্ত মাটির নতুন সংযোগ রাস্তা নির্মাণের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে এ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন কুষ্টিয়া সদর আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আ.কা. ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ। এসময় তিনি বলেন, এ সরকার উন্নয়নের সরকার এ সরকার জনগণের সরকার। আমার বৃহত্তর দৌলতপুরের এই চরাঞ্চলের মানুষের জন্য আমি প্রতিনিয়ত কাজ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এই চরাঞ্চলের মানুষেরা অনেক দুঃখ কষ্টের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাতে হতো সেসব আর এখন নেই। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে উন্নয়নের মহাসড়কে থাকাই এক্কেবারে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য নানান উন্নয়ন কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে এসব চরাঞ্চল এলাকাগুলোতে রাস্তাঘাট ব্রিজ-কালভার্ট বিদ্যুৎ সংযোগ সহ বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করা হচ্ছে। এলাকার মানুষকে সুযোগ সুবিধা দিতে বদ্ধপরিকর। একইসাথে চরবাসীর প্রতিটা লালতি স্বপ্ন বাস্তবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

মহব্বত নামের একজন জানান, চরের ব্যাপক উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে ৩৬ বছরের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হলো। তিনি বলেন, আমার শৈশব-কৈশরের অধিকাংশ সময় কেটেছে সিরাজনগর গ্রামে নানা বাড়ীতে। এর একটা মুল কারন ছিল চরাঞ্চল থেকে ডেঙ্গায় আমার দাদা পরিবার নিয়ে বসবাস করার সুবাদে আমরা একঘর রিফুইজি হবার কারনে আমার ভালো লাগতো না। তাছাড়া খেলার কোন সাথী না থাকাটাও বড় কারন ছিল। নানাবাড়ী মামাতো অনেক ভাইদের সাথে সময়টা খুব ভাল কাটতো। যাই হোক, আজকে যেখানে সড়কটি তৈরী হচ্ছে, এখানে আমরা ছোট বেলায় অনেক খেলাধুলা করেছি, চরের মানুষের ছিন্ন-ভিন্ন রাস্তায় হেঁটে আসার করুন দুর্দশা দেখেছি, মনে হত ইস্! ডেঙ্গাঞ্চলের মত যদি রাস্তা থাকতো মানুষের গরু-বাছুর নিয়ে, মহিলাদের পুটলা-পুটলি নিয়ে কি সহসায় আসা যাওয়া করতে পারতো। পরবর্তীতে বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেক রাজনীতিবিদ-আমলাদের কাছেও জানতে চেয়েছি চরের মধ্যের রাস্তা হয়না কেন? বরাদ্দ দেয়া হয়না কেন? চরের মানুষের খুব কষ্ট হয়।

অধিকাংশ জনরাই জবাবে বলেছে এবছর বরাদ্দ দিয়ে কাজ করলে পরের বছর বন্যা এসে ধুয়ে যাবে; যা ছিল তাই হয়ে যাবে। এ নিয়ে আর কথা বাড়ায়নি। তবে মনের মধ্যে স্বপ্ন ছিল, চরের সকল মানুষের মতই অন্ততঃ সিরাজগনর চরের মধ্য দিয়ে আলীনগর এর রাস্তাটি হউক। কারন এ রাস্তাটিতে আমার অনেক স্মৃতি বিজড়িত। তিনি আরও বলেন, সুদীর্ঘ ৪৭ বছর পর চরবাসী নিজেদের সন্তানকে ভোট দিয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত করার ফলে উন্নয়নের আনন্দের জোয়ারে ভাসছে। তারই প্রতিফলন স্বপ্নের এই রাস্তাটির বাস্তবায়ন। চরের মানুষের অনুভুতির নাম সরওয়ার জাহান বাদশাহ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।