ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়ন হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, নভেম্বরের ৯ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজন করা হচ্ছে। সফরকালে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

শনিবার তার দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

লন্ডনের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন ও প্যারিসে অনুষ্ঠেয় সরকারি সফরে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল রোববার ঢাকা ছাড়ছেন।

আব্দুল মোমেন বলেন, ফ্রান্সের অন্যান্য মন্ত্রী ও ফ্রান্সের দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের সদস্যদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক সাক্ষাতের প্রস্তাব রয়েছে। এছাড়া ফ্রান্সের বেশ কিছু কোম্পানির প্রধানরা শীর্ষস্থানীয় ফরাসি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থার একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের অনুরোধ জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের সময় বিভিন্ন বিষয়ে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক ও লেটার অব ইনটেন্ট স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী ১ ও ২ নভেম্বর যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো এবং ৩ থেকে ৮ তারিখ লন্ডন সফর করবেন। তিনি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এরপর নভেম্বরের ৯ থেকে ১৩ তারিখ প্যারিস সফর করবেন।

লন্ডন সফরের সময় ওয়েস্ট মিনিস্টার প্যালেসে যুক্তরাজ্যের সংসদের সদস্যদের উদ্দেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে একটি বক্তৃতা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশ নেবেন তিনি।

এছাড়া তিনি লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে গোপন দলিলপত্রের নতুন প্রকাশিত সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করবেন।