বদি গুম মামলার রায় :: গাংনী মেয়রসহ ১১ আসামির সকলেই খালাস

মেহেরপুরের গাংনীতে বদিউজ্জামান বদি গুম মামলায় খালাস পেলেন গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামসহ ১১ জন।
বৃহস্পতিবার মেহেরপুর জজ আদালতের অতিরিক্ত জেলা জজ রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন। খালাস প্রাপ্ত অন্য আসামীরা হলেন, আনারুল ইসলাম, খাইরুল ইসলাম, বকুল, শফিকুল, বাবুল, নাজু, রানা, মোজাম কসাই ও মিলন।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২২ এপ্রিল মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে বদিউজ্জামান বদি নিখোজ হয়। অনেক খোজা খুজির পর না পেয়ে ২৮ এপ্রিল বদির ভাই রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে মেয়র আশরাফুলসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা ও গুম মামলা করেন। যার নাং ৩৯। পরে মামলার তদন্দ কর্মকর্তা এসআই নারায়ন চন্দ্র নাথ ২০১২ সালের ২৫ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

এামলায় ১২ জন সাক্ষির সাক্ষ্য ও মামলার নথি পর্যক্ষেণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষনা করেন। মামলায় রাষ্টপক্ষের আইনজীবি ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী শহিদুল হক ও আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন খন্দকার আব্দুল মতিন।

খালাস পাওয়ার পর আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে নিজে অঝরে কাঁদলেন পৌর মেয়র। তিনি বলেন, সত্যের জয় হয়েছে। আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। আমি যদি পাপ করতাম তাহলে আল্লাহ্তালার পক্ষ থেকে শাস্তি পেতাম। এই মামলায় সব আসামী বেকসুর খালাস পেতোনা।

মামলার বিষয়ে গাংনী পৌর মেয়র বলেন, এটি একটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা। এই মামলার কারণে গাংনী পৌরসভার নাগরিকরা কাংখিত উন্নয়ন থেকে অনেকাংশে বঞ্চিত হয়েছেন। যে কাজটি দ্রুত ও সহজেই করা যেত সেটি পিছিয়ে গেছে।

এদিকে রায়ে অসন্তোস প্রকাশ করে বদিউজ্জামান বদির মেজো বোন অছিয়া খাতুন জানান, আমি ভাইকেও হারালাম, বিচারও পেলাম না। দির্ঘ ৮ বছর অপেক্ষা করেছি ভায় হারানোর বিচার পাবো বলে। কিন্তু হাতাশা নিয়ে ফিরতে হচ্ছে। আমার ভাই হত্যার বিচার আমি চাই।