
নগরের অন্যতম বৈশিষ্ঠ হলো অকৃষি ভিত্তিক আর্থসামাজিক ব্যবস্থাপনা। শিল্প, বানিজ্য, শিক্ষা সহ যত ধরণের অকৃষি ভিত্তিক পেশা ও পেশাভিত্তি সংগঠন বা স্থাপনা আছে সবগুলো পরস্পর নির্ভরশীল হয়ে ক্রমান্বয়ে একটা নগরকে বেষ্ঠন করে সুষমভাবে বিকাশ করতে সহায়তা করে। নগর যত বিস্তৃত হতে থাকে নগরের আদিরূপ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ দ্রুতই পরিবর্তিত হতে থাকে।মানুষের জীবনযাপন, চলাচল, বানিজ্যকেন্দ্র, শিক্ষা, চিকিৎসা বিনোদন সহ হাজার রকম সেবাখাত সমুহ প্রতিনিয়িত নাগরীক প্রয়োজনেই গড়ে ওঠে। আবার নাগিরক প্রয়োজনের দিক বিবেচনা করে নগর কতৃপক্ষের দায়িত্বও বেড়ে যায় বহুগুনে।
ফলে সমস্থ স্থাপনা সমুহের সঠিক স্থানসংকুলানের জন্য পরিকল্পনা মাফিক ভূমি অধিগ্রহন সহ নানাবিধ ভাঙ্গাগড়ার মাধ্যমে একটা নগরকে নান্দনিক ও আধুনিক রূপ দেয়া হয়। নগর বৈশিষ্ঠের অন্যতম অনুসংগ হল স্বল্পস্থানে অধিক মানুষের বসবাস সহ আনুসঙ্গিক স্থাপনা সমুহের নান্দনিক, বাস্তব ও পরিবেশ সম্মত সন্নিবেশ ঘটানো। ফলে জনগোষ্ঠির নিত্যপন্যের যোগান ঠিক রাখা, পানি, বিদ্যুত, জ্বালানি সরবরাহ,শিক্ষা ও জনস্বস্থের ব্যবস্থাপনা,কেলা ও বিনোদনের ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয় যেগুলো নগরের অন্যতম নাগরিকসেবা খাত হিসেবেও পরিগনিত হয়ে থাকে। নগর সহজাত হিসেবেই সূচনালগ্ন থেকেই নগরবর্জ্য উৎপাদন অব্যহত রাখে। ফলে বর্জ্যঅপসারণ নগর কতৃপক্ষের প্রাত্যাহিক ও অন্যতম কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়। নগরকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য পঃয়নিস্ক্ষাণ ব্যবস্থা সহ ড্রেনেজ ব্যাবস্থার উন্নয়নও রাস্তা পথের সাথে সাথে চলতে থাকে। এগুলো নগরবাসির জন্য কতৃপক্ষের পক্ষ থেকে দেওয়া নাগরিক সুবিধা হিসেবে বিবেচিত হয়। মোট কথা একটা নগর, বর্জ্যব্যাবস্থাপনা সহ কতটুকু নাগরিক সুযোগ সুবিধা নগরবাসিকে দিতে পারছে তার পরিমান ও বিস্তৃতিই নগরকে আধুনিক মানে উন্নতি করার অন্যতম মাপকাঠি।
বর্জ্য বলতে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যাবতীয় অপ্রয়োজনীয়, ফেলনাযোগ্য ও ত্যাগকৃত উপাদান সমুহকেই বুঝান হয়। তবে গ্রাম,নগর ও পরিবেশ ভেদে উপাদান গুলোর ধরণ, মাত্রা ও পরিমানগত উৎপাদন কমবেশি হয়ে থাকে। গ্রামীন পরিবেশে যে ধরণের বর্জ উৎপন্ন হয়, দেখা য্য়া শহরে একই বর্জের সাথে একাধিক অন্যন্য বর্জ তৈরি হয়। যেভাবেই তৈরি হোক না কেন সমস্ত বর্জসমুহকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করাহয়। রাবিস ও গার্বেজ। রাবিস গুলো সাধারণত শক্ত, আংশিক রিসাকেলযুক্ত এবং অপচনশীল। নগরে এই প্রকার বর্জের আধিক্য দেখা যায়। পূর্বে এগুলো শুধুমাত্র ভবন ভাঙ্গাগড়ার বা মেরামতের সময় উৎপাদিত হত। এর মধ্যে ইট,শুরকি, সিমেন্ট,বালু কাঠ লোহার টুকররোর আধিক্য থাকত এবং এগুলোর কিছুঅংশ পুঃনব্যবহার যোগ্য, কিছুটা রিসাইকেল যুক্ত ছিল। বর্তমান সময়ে একই বর্জের সাথে যুক্ত হয়েছে কাচঁ, টাইলস, প্লাস্টিক, চিনামাটি, পলিথিন, টিন, পারটেক্স, ফোম কর্কশিট, এলুমিনিয়াম সহ অনেক ধরনের ক্লিনিং এজেন্টে, রং বার্নিশের মত কিছুটা কেমিক্যাল দ্রব্য, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস দ্রব্যের অংশ সমুহ ও হাসপাতাল বর্জ্য।
অন্যদিকে গার্বেজ গুলো সাধারণত শক্ত ও তরল উভয় প্রকারেই হয়ে থাকে। তবে এগুলো পচনশীল,পচনের এক পর্যায়ে প্রচুর পরিমানে দূর্গন্ধ নির্গত করে। এর মধ্যে মানুষ ও পশু পাখির মলমুত্র,মৃতদেহ, গৃহস্থলি, হোটেল ও বাজারের বর্জ্য ও পরিত্যাক্ত পানি, কসায়খানা ও হাসপাতাল বর্জ্য, অন্যদিকে কারখানা, ডাইং, ব্যটারি রি ফুয়েলিং, কৃষিক্ষেত্রে ব্যাবহূত সার কিট নাশক প্রভৃতি এই প্রকার বর্জের মধ্যে পরিগনিত হয়ে থাকে। জরীপে দেখা যায় দেশে রাসায়নিক বর্জ্য উৎপাদনে কৃষি ও শিল্প খাত কেউ কারো থেকে পিছিয়ে নেই। এবং এগুলো ব্যাবস্থাপনার উন্নত কোন কৌশলও আমাদের হাতে নেই। ফলে এই সমস্ত বর্জ্যের প্রভাবে ক্রমাগত মাটি, বায়ু পানি দুষিত হয়ে মানুষ সহ আমাদের জীব বৈচিত্রকে প্রতিনিয়ত ব্যাপক হুমকির মধ্যে ফেলছে।
নগরের তরল বর্জ্য অপসারণের জন্য উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ পলুশন ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করা হয়। কঠিন বর্জ্য সমুহ নগর পরিচ্ছন্নতা কর্মী, সেবাদানকারী সংস্থা, এনজিও ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংগ্রহ করে নির্দিষ্ঠ ডাম্পিং স্টেশনে জমাকরা হয়। এবং শর্টিং এর মাধ্যমে পচনশীল বর্জ্য থেকে রিসাইক্লিন যোগ্য গার্বেজ গুলোকে আলাদা করা হয়। এই সমস্ত কাজে নগরের নিজস্ব জনবল ছাড়াও অর্থেল বিনিমিয়ে বেসরকারীভাবেও অনেক প্রতিষ্ঠান কাজ করে থাকে। যথাযত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পচনশীল বর্জ্য সমুহ থেকে উন্নতদেশ সমুহে লাভ জনক জৈবসার, জ্বালানী ও বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
১৩ই জুন ২০২৫ মেহেরপুর পৌরসভা প্রদত্ত তথ্যসূত্রে জানা যায় পৌর এলাকার আয়তন ১৭.৬০ ব.কিমি। এবং শহরে বসবাসকারী লোকসংখ্যা ৭০ হাজারের বেশি। চলাচলের সুবিধার জন্য শহরে ৫৯.৮০ কিমি এইচবি, ৩৯.৭০ কিমি আরসিসি, এবং৩৬.৩০কিমি কাঁচা সড়ক আছে। মোট ড্রেন আছে ৫৩.০৪কিমি। এর মধ্যে প্রাইমারী ১০.৫০,সেকেন্ডরিী ২৫.৮২, টার্সিয়ারী ১৬.৭২ কিমি। ড্রেন নির্গত সমুদয় দুষিত পানি কোন রকম পলুউশন ট্রিটমেন্ট ছাড়াই ভৈরব নদিতে ডিসচার্জ হয়ে থাকে। ৩টা বড়পরিসরের আন্ডার গ্রাউন্ড কনক্রিট পাইপ লাইনের মাধ্যমে গোহাট থেকে রাজাপুর ব্রীজমুখ, হসপিটাল মোড় থেকে থানাঘাট এবং বেনাগাড়ি থেকে কালাচাঁদপুর খাল দিয়ে পানি বেরকরে ভৈরবে ফেলা হয়। মোটা মুটি বড় ড্রেন গুলো সুপরিসর হলেও পাড়া মহল্লা বা ওয়ার্ড সমুহের সংযোগ ড্রেনের সাথে এগুলোর সংযুক্তি কম। কোথাও কোথাও সংযোগহেীন। এর অন্যতন কারণ মেহেরপুরের পরিসর বৃদ্ধি পেলেও এর নাগরিক সুবিধা সে তুলনায় বাড়ে নি। রাস্তাপথ যেমন সুপরিসর নয়,তেমনি ফুটপাত বা উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা বা ম্যনহোল গড়ে ওঠেনি। সংযোগ ড্রেনগুলো অপরিকল্পিত, ড্রেনেজ সিস্টেম এখনো অগভীর, বাঁকসর্বস্ব, অপরিসর ও অধিকাংশ স্থানে ড্রেনের মধ্যে বিদ্যুতের খুটির অবস্থানের জন্য অপসৃত বর্জ্য জমাটবেধে ড্রেন উপচে ময়লা বেরহয়ে আসে, ড্রেনগুলো জরুরী সার্ভিসের জন্য কোন ছোট আকৃতির যন্ত্রকৌশলও পরিলক্ষিত হয় না।
পৌরতথ্য মতে মেহেরপুর শহরে প্রতিদিন কঠিন পৌরবর্জ্য উৎপাদিত হয় ১৪ টন,** এবং অপসারিত হয় ১২ টন। শহররে সেপটিক ট্যাংকের ব্যাবহার ৭০% বাড়িতে, এখনও পিট ট্যাংকের ব্যবহার ২৫% এবং অন্যান্য ল্যট্রিন আছে ৫%, এবং প্রতিদিন তরল বর্জ্য উৎপাদিত হয় ৪০০০ লিটার। পৌরসভার তিনটি ভ্যাকু ট্যাং থাকলেও অপরিসর গলি, সংকীর্ন রাস্তা এবং দূরত্তের কারণে এই আধুনিক সুযোগ সুবিধা পৌরবাসি যথাযত ভাবে নিতে পারে না। ফলে এখনও সনাতনি পদ্ধতিতেই ব্যক্তি পর্যায়ে পয়ঃবর্জ্য নিষ্কাশিত হয়। পৌর সভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সংখা ১০৯ জন। এই অপ্রতুল জনবল দিয়ে প্রধান সড়ক ও অফিস আদালত পাড়া কিছুটা পরিচ্ছন্ন রাখা গেলেও পাড়া মহল্লাগুলো থাকে আপরিচ্ছন্ন।
শহর যেমনই হোক বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা অবশ্যই ভালো হতে হবে। মেহেরপুর শহরের রাস্তাগুলো অপ্রসস্থ হওয়ার জন্য যেমন কোন ফুটপাত নেই তেমনি স্থায়ী বিন ব্যবস্থাও নেই। সুনির্দিষ্ঠ ডাম্পিং ব্যবস্থা না থাকা এবং মাঝেমধ্যে অস্থায়ী ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য শহরপ্রান্তে বা পথপার্শে, হাটবাজারে প্রতিনিয়ত আবর্জনা জমা হয়ে ভয়াবহভাবে পরিবেশ দূষন হয়। ইতোপূর্বে মেহেরপুর গোহাট প্রান্তে বৈদেশিক সহায়তায় ছোট আকারে একটা গার্বেজ শর্টিং স্টেশন করা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল পৌরবর্জ্য থেকে রিসাইকেল যোগ্য ও পচনশীল পদার্থ সমুহ আলাদা করে ব্যবহার উপযোগী করা। জানা যায় পচনশীলদ্রব্য থেকে এখানে জৈবসার উৎপাদনের পরিকল্পনাও ছিল। কিন্তু এই স্টেশটির সঠিক কার্যক্রম সম্পর্কে কেউ তেমন অবগত আছে বলে মনে হয় না।উন্নত নগর সমুহে এই ধরণের কার্যকলাপ পৌর সভার আয়ের একটা বড় উৎস। এছাড়াও উন্নত বিশে^র আদলে দেশে বর্জ্যথেকে জৈবজ¦লানী ও বিদ্যুত উৎপাদনের বিষয়টিও সরকার চিন্তা ভাবনা করছে বলে শুনাযায়।
তবে আশার বিষয়, ”নগরপরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ প্রকল্পের” অধীনে শহর উপকন্ঠে নির্জনস্থানে ৩ একর যায়গার উপরে প্রায় তিনকোটি টাকা ব্যায়ে একটা এফ এস টি পি (ফিকেল স্লজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ) স্থাপন করা হয়েছে। ১০ই আগস্ট ২০২১ থেকে এইপ্লানেটর কার্যক্রম শুরু হয়। ভবিষ্যৎ চিন্তা করে এর পরিসর আরো বাড়ানো বাঞ্ছনীয় বলে নগরবাসি মনে করে। বর্তমান স্টেশনে ৭০ সে.মি উচ্চতা বিশিষ্ঠ ৩টা ড্রায়িং বেড আছে। ভ্যকুট্রাকের মাধ্যমে সংগ্রহকৃত মানুষ্য পয়ঃবর্জ্য সপ্তাহে ১-৩ দিন এই বেডেফেলে শুকানো হয়। এগুলো জৈবসার উযোগী।
পৌর তথ্য মতে মেহেরপুর শহরে পানির গ্রাহক ৪৩৭০ জন এবং পানির চাহিদা ১২০০০ ঘন মিটার। ৬টি পাম্প ও ১টি ওভারহেড ট্যঙ্কের মাধ্যমে প্রতিদিন ৩৫০০ ঘনমিটার পানি সরবরাহ করা হয়, যা প্রয়েজনের তুলনায় অপ্রতুল। কিন্তু নগর প্রসারণের সাথে সাথে পানির চাহিদাও ক্রমেই বেড়েই চলেছে। জানা যায় মেহেরপুরের পানিতে সাদা আয়রন ও কোথাও আর্সেনিকের উপস্থিতি লক্ষনীয়। যে পরিমান পানি সরবরাহ করা হয় তার পরিমান ও চাপ এত কম থাকে যে পানি ব্যাবহারের সুবিধা অপেক্ষা অসুবিধা ভোগ করতে হয় আরো বেশি।
অধিকাংশ নগরবাসিকে নিজ উদ্যেগে নলক’প স্থাপন করে পানির ব্যবস্থা করতে হয়। এখানেও সমস্যা প্রচুর। প্রথমত আয়রন, আর্সেনিক মুক্ত পানি পাওয়ার অনিশ্চয়তা, তাপরেও শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় অধিকিাংশ নলকুপ পানিশুন্য হয়ে পড়া। শহরের একমাত্র ওভারহেড ট্যাংকের পানি গ্রাভেল ওয়াস করে তোলা হলেও এখান থেকে প্রচুর পরিমান অপদ্রব্য কোন প্রকার শোধন ছাড়াই সরাসরি ড্রেনের মাধ্যমে ভৈরবে নিস্কাশন করা হয়, প্রত্যক্ষভাবে নদী দূষণ করে।
মেহেরপুর, দেশের অন্যতম কৃষি নির্ভর শহর। এখানে উল্লেখযোগ্য কোন শিল্প নেই ফলে রাসায়নিক দূষণ তুলনামুলক কম। স্বল্পমাত্রার ব্যাটরি রিসাইকেল,জুয়েলারি, ও তেল নিঃসরণ ছাড়া শহরে তেমন রাসায়নিক দূষণ নেই বললেই চলে। তারপরেও নগরকে নগরীয় বৈশিষ্ঠে ফেরাতে হলে সর্বপ্রকার দূষণ মুক্ত রাখা বাঞ্ছনীয়। বর্তমানে শহরে আবাসিক এলাকা বাড়ার পাশাপাশি সেবাদান প্রতিষ্ঠান সমুহও বাড়ছে। বাড়ছে দোকান পাট, মার্কেট, ক্লিনিক হাসপাতাল, খাবার দোকান সহ ক্ষুদ্রাকারের শিল্প। ভবিষ্যতে বিশ^বিদ্যালয় সহ আরো সরক্রী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার অপেক্ষায়। এখন থেকেই পরিকল্পিতভাবে বর্জ্য ও সুয়ারেজ ব্যবস্থাপনার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা না করলে ভবিষ্যত প্রজন্ম তার প্রিয় শহরকে একটা পুতিগন্ধময় আবর্জনার ভাগাড় ছাড়া আর কিছুই পাবে না। ফলে এখন থেকেই ঋঝঞচ সংখ্যা ও আয়তন বৃদ্ধি, পরিকল্পিত বিন নির্মাণ, একাধিক শর্টিং স্টেশন স্থাপন, রাস্তা,গলিপথের এবং ড্রেনের বাঁক অপসারণ,ড্রেনের মাঝখানথেকে বৈদ্যুতিক খুটি সরানো, ইটিপির মাধ্যমে দূষিত পানি পরিশোধন করে নদিতে ফেলা সহ সময়মত নগর,হাসপাতাল, গৃহস্থলি বর্জ অপসারণ ও ধংশের ব্যাবস্থা করা সময়ের দাবি। বিষয়টা আগামী প্রজন্মের সার্থে অত্যান্ত জরুরী বলেই নগরবাসি মনে করেন।
বর্জ্যব্যবস্থাপনা নিয়ে দেশ আজ অত্যান্ত আশাবাদি। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশবিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রফেসর ডা.খালেকুজ্জামান সম্পূর্ন নিজস্ব প্রযুক্তি ও অনুঘটক ব্যবহার করে নগর বর্জ্য ও মানুস্যবর্জ্যনিয়ে দীর্ঘদি ধওে কাজ করছেন এবং সফল হয়েছেন। নগরবর্জ্য থেকে স্বল্পমুল্যে জ্বালানিতেল, গ্যাস ও উন্নত মানের জৈবসার উদ্ভাবন করে বিশ্বব্যাপি সাড়া জাগিয়েছেন, তাঁর এই যুগান্তকারী গবেষণা বেশ কয়েকটি আন্তর্জতিক মানের বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নালে প্রকাশিত হওয়ার পরে বিষটি নিয়ে অনেক দেশই আজ আমাদের দিকে দৃষ্টি ফিরিয়েছে। আশা করি, আমাদের দেশও এর সুফল অচিরেই ভোগ করবে এবং সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা সমূহ নিজ উদ্যোগে এই আবিষ্কারকে কাজে লাগানোর জন্য এগিয়ে আসবে।