
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কাউকে ষড়যন্ত্র করতে দেওয়া হবে না। মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি করতে দেওয়া যাবে না। সকলেই প্রস্তুত থাকুন, নির্বাচনের জন্য সকলকে প্রস্তুত করুন এবং যারা নির্বাচনকে বানচাল করতে চায় বা নির্বাচনকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র করবে, আগামী দিনে গণতন্ত্রের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বে তাদের আমরা রুখে দিতে পারব।
১৭ বছর আমরা একসঙ্গে লড়াই করেছি। বিএনপি, জামায়াত, অন্যান্য সকল সংগঠন যারা রক্ত দিয়েছেন, জেল-জুলুম সহ্য করেছেন আজকে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশের মঞ্চ থেকে আমি আপনাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করতে চাই, এ কাজ করবেন না, বিএনপিকে ক্ষমতায় যাওয়া ঠেকাতে গিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার ছিনতাই করবেন না।
গকতাল মঙ্গলবার বিকেলে শহরের ড. শামসুজ্জোহা পার্কে বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণ।
তিনি আরও বলেন, আমরাই বলেছিলাম দিন বদলাবে, দিন হবে মানুষের সেই মানুষের দিন প্রতিষ্ঠার এ লড়াই আমরা শুরু করেছিলাম ১৭ বছর আগে। সেই লড়াই আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে চূড়ান্তভাবে এই রাষ্ট্রের মালিকানা আমরা জনগণের কাছে ফেরত দিতে চাই।
মেহেরপুর জেলায় যে কমিটি হয়েছে সেটি বিএনপি’র ছোট কমিটি। কমিটি ছোট হোক, তারপরেও ওই বিএনপিকেও আমাদের রক্ষা করতে হবে। ছোট হোক, রক্ষা করতে হবে। মেহেরপুরের লক্ষ্য মানুষ আমাদের সাথে আছে। তাই কারোর বিরুদ্ধে আর অভিযোগ করব না। ঐক্যবদ্ধ থাকুন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকুন।
মেহেরপুরের নবাগত এসপি ও ডিসিকে উদ্দেশ্য করে মাসুদ অরুণ বলেন, নতুন কমিটির ফোনে কাজ করার আগে জনগণের ভাষা বুঝবেন। জনগণের ভাষা বুঝে যদি কাজ না করেন, আগামীতে পার্কে সমাবেশ হবে না, সমাবেশ হবে ডিসি অফিসের সামনে, হবে এসপি অফিসের সামনে। আগামীতে কাউকে জনগণের স্বার্থের বাইরে এক পা ফেলতে দেওয়া হবে না।
আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন, জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, কোনো সময় পুলিশ দিয়ে ভোট, কোনো সময় রাতের বেলায় ভোট, কোনো সময় ডামি ভোট করে শেখ হাসিনা ১৬ বছর ক্ষমতায় ছিল। এই ১৬ বছরে শেখ হাসিনা অজস্র মায়ের বুক খালি করেছে, অসংখ্য বিএনপি’র ছেলেদের ক্রসফায়ার দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের সম্পদ লুট করে লক্ষ লক্ষ টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এর বিরুদ্ধে এই ১৬ বছর কঠোর লড়াই কারা করেছে?
এই মেহেরপুরের মাটিতে পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র, র্যাবের ক্রসফায়ারের ভয়, বিডিআরের বন্দুককে উপেক্ষা করে, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের রুক্ষ চক্ষুকে উপেক্ষা করে এই মেহেরপুরের মাটিতে শেখ হাসিনা বিরোধী লড়াই কারা করেছিল? আপনারা, এই মাঠে যারা উপস্থিত আছেন, আপনারাই লড়াই করেছিলেন।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর সদর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আহসান হাবীব সোনা, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান, জেলা তাঁতীদলের সভাপতি আব্দুল্লাহ মাস্টার বাবলু, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজির প্রমূখ।
এছাড়াও এসময় জেলা বিএনপি’র বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।