বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা

বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা সমিতি কুষ্টিয়ার যুগপুর্তি উপলক্ষ্যে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

গতকার শনিবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া পৌরসভা অডিটোরিয়ামে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো: আসলাম হোসেন।

এ সময় তিনি বলেন, বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা। যখনই পিঠা-পায়েস, পুলি কিংবা নাড়ুর কথা উঠে তখনি যেন শীত ঋতুটি আমাদের চোখে ও মনে ভেসে ওঠে। শহুরে জীবনে এ ধরণের পিঠা উৎসবের আয়োজন প্রতিনিয়ত করা উচিত। তবেই আমরা বাঙ্গালির ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, বাঙালির চিরাচরিত ঐতিহ্য বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতেই এই পিঠা উৎসবের আয়োজন। এটি সত্যিই আমাদের পুরোনো দিনের কথা মনে করিয়ে দেয়। হরেক রকমের পিঠার স্বাদ আমরা উপভোগ করছি। বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা সমিতি এইপিঠা উৎসব করার জন্য ধন্যবাদ।

এ সময় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফত, বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা সমিতি কুষ্টিয়ার সভাপতি ও কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)) লুৎফুন্নাহার, সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাংবাদিক আ.ফ.ম নুরুল কাদের, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ওবায়দুর রহমান, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মৃণাল কান্তি দে, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জোবায়ের হোসেন চৌধুরী, ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নসোহেল মারুফসহ এই আয়োজনে উপস্থিত বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা সমিতির সদস্যরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

তারা জানান, এই ধরণের আয়োজন খুব প্রয়োজন। বিশেষ করে এই শহরে হয়ত বাড়িতে বাড়িতে পিঠা তৈরি হয়, কিংবা রাস্তার মোড়ে ভাঁপা পিঠা তৈরি করা হয়। কিন্তু শহরে একযোগে ঐতিহ্য তুলে ধরার কাজটি হয়নি। এই আয়োজন যেন নিয়মিত হয় এমন প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন অতিথিরা।

পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।