গাংনীর বাওটে আশা অফিসের সিঁড়ি ও রুমের মধ্যে ছোপ ছোপ রক্ত, নিখোঁজ পিওন,

বেসরকারী এনজিও আশা’র অফিস কক্ষের সিঁড়ি ও রুমের মধ্যে ছোপ ছোপ রক্ত পড়ে আছে। কিন্তু কোনো দেহ নেই। এ ঘটনায় হ্মিপ্ত জনতা শাখা ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলামকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন।

আজ রবিবার (২ অক্টোবার) সকালে গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের বাওট গ্রামে এনজিও সংস্থা আশা’র ব্রাঞ্চ অফিসে এ ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ রয়েছেন ওই অফিসের পিওন কাম কুক হৃদয় হোসেন (১৮)। হৃদয় হোসেন গাংনী উপজেলার ছাতিয়ান

হৃদয় হোসেনের ভাই বিজয় জানান, গতরাতে তার অফিসের ম্যানেজারসহ ৪/৫ জন লোক আমাদের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করে ভাইকে নিয়ে আসেন। সে তাদের সাথে এসে আর ফিরে যায়নি। সকালে হৃদয়কে তার কর্মস্থল এনজিও আশা’র বাওট ব্রাঞ্চে খুঁজতে যায়। খুঁজতে গিয়ে রুমের মধ্যে ও সিঁড়িতে ছোপ ছোপ রক্ত পেলেও হৃদয় হোসেনের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। এসময় স্থানীয়রা ব্রাঞ্চের ব্যবস্থাপক কে আটক করে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে বামন্দী পুলিশ ক্যাম্পের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে হেফাজতে নেন।

নিখোঁজ হৃদয়ের ভাই বিজয় জানান, আশার ব্রাঞ্চ ব্যবস্থাপক সাথে একই অফিসের মাঠ কর্মী সামিয়া খাতুনের সাথে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। কয়েকদিন আগে তারা অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় আমার ভাই ভিডিয়ো ধারন করেছিলো। পরে সেই ভিডিয়ো ধারন নিয়ে ম্যানেজার আমার ভাইকে হুমকীও দিয়েছিলো।

হৃদয়ের মা আক্তার বানু বলেন, গতকাল রাতে হৃদয়ের বাড়িতে ম্যানেজার আমিনুল ইসলামসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন লোক খাওয়া দাওয়া করে হৃদয়কে অফিসে নিয়ে আসে ম্যানেজার। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি সে। ধারনা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলেছে।

এদিকে আজ সকাল থেকে আশা অফিসে কোনো কর্মকর্তা বা মাঠ কর্মীকে পাওয়া যায়নি। সবাই পলাতক রয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ম্যানেজারকে উদদ্ধার করেছে। বর্তমানে নিখোঁজের বডি আশেপাশের জঙ্গল বা পুকুরসহ অন্যান্য স্থানে খোঁজা হচ্ছে।