
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী গ্রামের জনতা ব্যাংক লিমিটেডের বামন্দী শাখার আমানত শত কোটি টাকার মাইলফলক স্পর্শ করছে।
প্রায় ৫০ হাজার গ্রাহক সংখ্যা নিয়ে ইতিমধ্যে এই ব্যাংকটি এখন একক ব্রাঞ্চ হিসেবে বাংলাদেশ জনতা ব্যাংক লিমিটেডের গ্রাহক সংখ্যার সর্বোচ্চ স্থান দখল করে রয়েছে।
গতকাল সোমবার বামন্দী গ্রামে অবস্থিত জনতা ব্যাংক লিমিটেড বামন্দী শাখায় কেক কেটে ও আলোচনা সভার মাধ্যমে এই প্রাপ্তি উদ্যাপন করেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনতা ব্যাংক লিমিটেডের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের জিএম আবুল কালাম আজাদ, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মফিজুর রহমান, এজিএম মোঃ আশরাফুজ্জামান, বামন্দী জনতা ব্যাংক লিমিটেডের শাখা ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেনসহ ব্যাংকের অন্যান্য সদস্য এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
জিএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, বামন্দী একটি ইউনিয়ন পর্যায়ের গ্রাম, তবে এখানকার ব্যাংকের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শহরের যে কোনো ব্রাঞ্চের চেয়ে এগিয়ে।
আজ আমরা কেক কাটার মাধ্যমে এই ব্যাংকটির গ্রাহক আমানতের টাকার পরিমাণ শত কোটি টাকার ঘরে পৌঁছানো উপলক্ষে কেক কাটার মাধ্যমে উদ্যাপন করলাম।
আর এই ব্যাংকটির গ্রাহক সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৫০ হাজারের ঘরে।
এ থেকে প্রমাণ হয় যে এই ব্রাঞ্চটি মানুষের মনের ঘরে জায়গা করে নিয়েছে। আমি বলব এই অর্জন আপনাদের, অর্থাৎ গ্রাহকদের।
আপনাদের ভালোবাসা, বিশ্বস্ততা ও সহযোগিতাই আজকের এই অর্জন সম্ভব করেছে। আমি বাংলাদেশ জনতা ব্যাংক লিমিটেড ও এই শাখাটির সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি।
ব্যাংক ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন বলেন, ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বামন্দী জনতা ব্যাংক বামন্দী শাখার পথচলা শুরু। আজ এসে সেই শাখাটির পরিবারের সদস্য বা গ্রাহক সংখ্যা ৫০ হাজারের ঘরে পৌঁছেছে। আর গ্রাহকের আমানতের টাকার পরিমাণ শত কোটির ঘরে। এই অর্জন শুধু বামন্দীর নয়, এই অর্জন বাংলাদেশ জনতা ব্যাংক লিমিটেডের। আমরা স্বগৌরবে বলতে পারছি, পল্লীর একটি ব্যাংকে গ্রাহক সংখ্যা ৫০ হাজার এবং আমানত শত কোটি টাকা।