বাল্য বিয়ে পড়িয়ে কাবিননামা না দেওয়ার পায়তারা

দামুড়হুদায় বহুল আলোচিত কুতুব কাজী মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জয়রামপুর গ্রামের মাঠ পাড়ার আহার আলীর নাতনী সানজিদা খাতুন (১৫) ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীর সাথে একই গ্রামের জয়রামপুর মাঠপাড়ার ডালুর ছেলে স্বাধীন(২০) সাথে ২ লক্ষ টাকা দেনমহরে বাল্য বিবাহ দেন। গত ৭ই নভেম্বর ২০ইং তারিখে কুতুব কাজীর বাড়িতে বসে এ বিবাহ দেওয়া হয় (যার ভিডিও রয়েছে)। স্বাধীন তার স্ত্রীকে নিয়ে দেড় মাস সংসার করার পর স্বাধীনসহ তার পরিবারের লোকজনের অত্যাচারে সানজিদা বাবার বাড়িতে চলে যায়।

এখন স্বাধীন ও তার পরিবারের লোকজন বলতে থাকে সানজিদার সাথে স¦াধীন বিয়ে করেনি। পরে সানজিদা খাতুন বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা কোটে স্বাধীনের বিরোধে মামলা দায়ের করে। কোট বিয়ের কাবিননামা দেখতে চাইলে সানজিদার পরিবার কুতুর কাজীর নিকট কাবিনামা চাইলে কাজী বিয়ে দেওয়ার কথা অস্বীকার করে। এ দিকে কুতুব কাজীকে স্বাধীনের পরিবার ম্যানেজ করায় কুতুব কাজী অস্বীকার করে বলে আমি বিয়ে পড়ানি।

অথচ কাজী যখন বিয়ে পড়ায় তখন ভিডিও করে রাখে মেয়ে পক্ষের লোকজন। কুতুব কাজীর লম্বা হাত হওয়ায় ভিডিওকে তোয়ক্কা না করেই অস্বীকার করতে থাকে। কাবিনামা না দেওয়ার পায়তারা চালিয়ে আসছে চতুর এ কাজী সাহেব। এক দিকে স্বাধীন সানজিদাকে বিয়ে করে দেড় মাস সংসার করে বিয়ের কথা অস্বীকার করছে, অন্য দিকে কাজী সাহেব বিয়ের কাবিননামা না দেওয়ার পায়তারা করছে।
তাই সানজিদার অধিকার বিয়ের কাবিনামা উদ্ধারসহ স্বাধীন ও কুতুব কাজীকে আইনের আওতায় আনবেন প্রসাশন এমটিই চাওয়া ভোক্তভোগি মহলের।

সানজিদার খালা সালমা বেগম জানান, আমার বোনের মেয়ে সানজিদাকে একজনের বাড়ি নিয়ে গিয়ে নষ্ট করে। পরে একই গ্রামের তাহাজ্জত মোড়ল স্বাধীন ও সানজিদার সাথে বিয়ে দিয়ে মীমাংসা করে। এখন গ্রামের মোড়ল তাহাজ্জত বলছে তাদের বিয়ে হয়নি। স্বাধীন কোটে বলেছে আমি বিয়ে করিনি। কুতুব কাজী বলেছে ছেলে মেয়ের বয়স হয়নি আমি কাবিনামা দিব না আপনারা যা পারেন তাই করে নেন। আমরা এখন মেয়েকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছি।

কুতুব কাজী বলেন, আমি বিয়ে পড়িয়েছি আপনাদের কাছে ভিডিও আছে তাই কি হয়েছে আমি তাদের কাবিনামা দিব না। আপনারা যা পারেন তাই করেন।

একই গ্রামের নেতা তাহাজ্জত আলি বলেন, তাদের তো বিয়ে হয়নি। বিয়ে হয়নি তো দেড় মাস সংসার করলো কিভাবে এমন প্রশ্ন করলে তিনি জানান- আমি জানিনা।

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল খালেক জানান, তারা অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।