বাহারি ও রসালো পিঠার গন্ধে মাতলো ক্যাম্পাস

দুধপুলি, গোলাপের সিরা পাকান, জামাইপিঠা, মৌসুমি সন্দেশ, পাটিসাপটা, নকশি, হৃদয় হরণ, জামাই ভাজা, সরুপিঠা, আন্দোসা, ঝিনুক পিঠা, ইলিশ চিতাও, কলাই রুটি, শাহি টুকরা, লবঙ্গ লতিকা, মালপোয়া । হরেক রকমের বাহারি ও রসালো পিঠার নাম এ গুলি।

নামগুলি শুনলেই জিভে জল আসার মত অবস্থা। নামগুলির সাথে জড়িয়ে আছে বাঙালির অস্তিত্ব। বিশেষ করে শীতকালে এ ধরণের পিঠা-পুলি আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা করে আসছেন আমাদের মা-বোনেরা।

‘বাঙালিত্বের চর্চা হোক অন্তরে বাহিরে’ এরকম রসালো ও ঐতিহ্যপূর্ণ পিঠাপুলি উৎসবের মধ্যে দিয়ে মঙ্গলবার দিনব্যাপী মেহেরপুর সরকারি কলেজে হয়ে গেলে পিঠা-পুলি উৎসব।

পিঠার সাথে মিলিয়ে বাহারি নামের স্টল দিয়ে এ উৎসব অনুষ্ঠিত জয়। ষ্টলগুলির মধ্যে কাশফুল, নীলাচল, মৌবন, চন্দ্রপুলি, মায়াজাল, রসনাবিলাস, বাঙালিয়ানা,পেটুকদের আড্ডা, স্বাদে বাঙালি, ভোজনবিলাস, আইনস্টাইন পিঠা ল্যাব অন্যতম।  লাঠি খেলা, সঙ্গিত পরিবেশন ও নৃত্য পিঠা-পুলি উৎসবকে আরো প্রাণবন্ত করে।

মাটির হাড়িতে কয়লার আগুনে তুষের ধোঁয়া তৈরি করে উৎসবের উদ্বোধন করেন অধ্যক্ষ প্রফেসর শফিউল ইসলাম। এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: আতাউল গনি, পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী, মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আযম, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, সাহিত্যিক ড. গাজী রহমান।

মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মো: আতাউল গনি বলেন, ৫০ বছর আগে আমারা বাঙালি উৎসব গুলো করতে পারতাম না। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে আমাদের এই প্রাণের উৎসব গুলো করতে পারছি। এ জন্য স্বাধীনতার সেই সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।

পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী বলেন, বাঙালির এই ঐতিহ্যপূর্ণ পিঠা উৎসবের আয়োজন করায় কলেজ কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানায়।

মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শফিউল ইসলাম সরদার বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের অয়োজনে এই উৎসব দেখে আমি অভিভূত। আগামিতে আরো বড় পরিসরে এ ধরনের উৎসব করা হবে।

পিঠা-পুলি উৎসব বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল আমিন ধুমকেত বলেন, আবহমান বাংলার যে সমস্ত উৎসব আমরা দেখতে পাই পিঠা উৎসব তাদের একটি। মেহেরপুর সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ২৬টি স্টল নিয়ে এই পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণ করেছে।

মেপ্র/ইএম