বাড়িবাঁকায় দোকান মালিকের কোটি টাকা উত্তোলণ করে লাপাত্তা বিক্রয় প্রতিনিধি

বাড়িবাঁকায় দোকান মালিকের কোটি টাকা উত্তোলণ করে লাপাত্তা বিক্রয় প্রতিনিধি

মেহেরপুরে স্যার ও কীটনাশক ব্যবসায়ীর নামে বাজার থেকে প্রায় কোটি টাকা উত্তোলন করে চম্পট দিয়েছে এক বিক্রয় প্রতিনিধি।

বিক্রয় প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম (২৬) মেহেরপুর সদর উপজেলার বাড়িবাঁকা গ্রামের জয়নালের ছেলে। বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের বাড়িবাকা গ্রামের আবির ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আল মামুন। তিনি সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী। তিনি কয়েকটি কোম্পানির ডিলার হিসেবে মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন দোকানে সার ও কীটনাশক সরবরাহ করেন। বাড়িবাকা গ্রামের জয়নালের ছেলে সাইফুল ইসলাম তার দোকানে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে ২ বছর যাবৎ কর্মরত। ২৪ ডিসেম্বর থেকে সাইফুল নিরুদ্দেশ থাকায় মামুন বিভিন্ন স্থানে তার খোঁজ নিতে থাকেন।

একপর্যায়ে তিনি জানতে পারেন সাইফুল মেহেরপুরের বিভিন্ন সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তার প্রতিষ্ঠানের নামে ৬০ লক্ষাধিক টাকা অগ্রিম হিসেবে উত্তোলন করেছেন।

সাইফুলের পরিবারের কাছে তার সন্ধান নিতে গেলে পরিবারের লোকজন অসংলঘ্ন কথা বলাতে মামুন তার ব্যবসায়িক পার্টনারকে বিষয়টি জানাই। মামুনের ব্যবসায়িক পার্টনার মোবাইল ফোনে সাইফুলের সাথে কথা বললে সাইফুল তাকে জানায়, তার বাবা তাকে আত্মগোপনে যেতে বলেছে। এরপর থেকে সাইফুলের মোবাইল ফোনটিও বন্ধ আছে। উপায়ান্তর না পেয়ে মামুন এরপর সদর থানায় সাইফুলের বিপক্ষে একটি অভিযোগ দাখিল করেছে। অভিযোগটি গ্রহণ করা হয়েছে বলে মেহেরপুর থানা সূত্রে জানা গেছে।

বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ,মামুন ও তার স্ত্রী আমার কাছে এসেছিল। তাদের কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখে আমি কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলি। ব্যবসায়ীরা আমাকে জানায় সাইফুল তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা উত্তোলন করেছে। গতকাল সাইফুলের বাবা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তার জন্ম নিবন্ধন সনদ উত্তোলন করেছে।

আল মামুন মেহেরপুর প্রতিদিনের সাথে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন বাজার থেকে ৭০ লাখ টাকা উত্তোলন করা সহ দোকানের আরও প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন করেছে সাইফুল। কিছুদিন আগে সে নতুন পাসপোর্ট করেছে। আমার আশঙ্কা সে বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যেকোনো সময় সে বিদেশেও চলে যেতে পারে। বিষয়টি নিয়ে আমি মেহেরপুর সদর থানায় অভিযোগ করেছি।

মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ কনি মিয়া বলেন, টাকা আত্মসাৎ করে পালানোর বিষয়ে একটি অভিযোগ থানায় জমা পড়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।