বিআরটিএ অফিসের চিত্র: নিজের লোকের কাছে আড়াই, অন্য কেউ হলে তিন হাজার

আপনি নিজের লোক বলে আড়াই হাজার বললাম, অন্য কেউ হলে তিন হাজার বলতাম। এসব কাজে তিন হাজারই লাগে। বিভিন্ন খরচপাতি আছে চুয়াডাঙ্গাসহ বিভিন্ন যায়গায় ছুটাছুটি করতে হয় সব মিলিয়ে হাজার তিনেক মত খরচ হয়। এভাবেই বিভিন্ন কায়দা কৌশলে মোটরসাইকেলের লাইসেন্স ফাইল জমার জন্য সাধারণ গ্রাহকের নিকট হতে হাতিয়ে নিচ্ছে মেহেরপুর আঞ্চলিক বিআরটিএ অফিসের মাষ্টাররোলে কর্মরত রাসেল ও মেজবাহ উদ্দিন।

ভুক্তভোগী রায়হান মোটরসাইকেলের নাম্বার প্লেট পাওয়ার জন্য কাগজ জমা দিতে এসে এই হয়রানির স্বিকার হয়। বিভিন্ন কারন দেখিয়ে তার কাছে থেকে প্রথমে তিন হাজার পরে নিজের লোক বলে আড়াই হাজার টাকা দাবি করে রাসেল তার সাথে সম্মতি দেয় মেজবাহ উদ্দিন।

মেহেরপুর বিআরটিএ অফিসে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ অভিযান চালিয়েও গ্রাহক হয়রানি কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছে না।
বিআরটিএ নির্ধারিত রেজিট্রেশন ফি জমা দেওয়ার পরও অতিরিক্ত আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা দিতে হচ্ছে বিআরটি অফিসে। টাকা না দিলে কাল আসেন পরশু আসেন বলে হয়রানি করা হচ্ছে গ্রাহকদের।

এ বিষয়ে রাসেল এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কারও কাছে টাকা চাইনি। আমার যারা এসেছিল তাদের বলেছি শো-রুমে যোগাযোগ করতে। ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়ার পরও শো-রুমের সাথে কেন যোগাযোগ করতে হবে জানতে চাইলে রাসেল বলেন, এটি নতুন নিয়ম চালু হয়েছে।

মেজবাহ উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি প্রথমে রাসেলকে চেনেন না বলে জানান। পরে টাকার নিতে চাওয়ার কথা অস্বিকার করেন।

মেহেরপুর বিআরটিএ’র আঞ্চলিক কর্মকর্তা সালাউদ্দিন প্রিন্স এর সাথে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক অতিরিক্ত পরিচালক আতিয়ার রহমান জানান, রাসেল ও মেজবাহ উদ্দিনকে আমি চিনি না। এরা বিআরটিএ’র অফিসিয়াল কেউ না। মোটরসাইকেলের কাগজ জমা নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের কোন ধরনের হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। টাকা নেওয়ার অভিযোগ যদি সত্যি হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেপ্র/ইএম

আরো পড়ুন: সেই স্কুলের তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা