দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার (৯ জুলাই) চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ঝাঁঝাডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ইব্রাহিম বাবুর বাড়ি ও সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সারজিদ আলম, হাসনাত আব্দুল্লা, আক্তার হোসেনসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের নুর ইসলামের বাড়িতে গিয়ে নিহত ইব্রাহিম বাবুর পরিবার পিতা-মাতা, স্ত্রী ও সন্তানের খোঁজখবর নেন এবং পরিবারের হাতে অনুদান তুলে দেন। এরপর মাথাভাঙ্গা নদীর এ পার থেকে ৭৯ নম্বর পিলার বরাবর সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখেন নেতৃবৃন্দ।
এসময় বক্তৃতায় সারজিদ আলম বলেন, আমরা জানতে পারি, ৭ দিন আগে বিএসএফ গুলি করে ইব্রাহিম বাবুকে হত্যা করে এবং পরে লাশ ফেরত দেয়। বিষয়টি জানার পর আমরা এড়িয়ে যেতে পারিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, সীমান্তে ঘাস কাটতে গেলে তাকে গুলি করে নিয়ে যায়। ভারতের বিএসএফ বাংলাদেশিদের ওপর গায়ের জোরে গুলি চালায়। ফেলানী হত্যার মতো বহু ঘটনা এর প্রমাণ। গত ৫০ বছরে ১২০০’র বেশি বাংলাদেশি সীমান্তে নিহত হয়েছেন। বিএসএফ এখন মানবাধিকার বিরোধী বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সীমান্ত হত্যা বন্ধে আমাদের প্রতিবাদ করতে হবে। ভারতের উচিত মর্যাদার ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা।
বক্তৃতা শেষে নেতৃবৃন্দ সীমান্তে আগ্রাসন চলবে না, মানুষ হত্যা চলবে না, আজাদী আজাদী ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে সীমান্ত থেকে ফিরে আসেন।