
দুর্নীতির উৎস হচ্ছে এক ধরনের রাজনীতিদের দ্বারা। তাদের হাতেই লালিত হয় দুর্নীতিবাজদের অনেকে। বিগত সরকারের পতনের অন্যতম কারণ ছিল দুর্নীতি। এজন্য সচেতন থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দুদকের চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে মনোনয়ন বাণিজ্যসহ অবৈধ টাকার লেনদেন বেড়ে যায়। এজন্য এখনই সতর্ক থাকতে হবে। সঠিক লোকটিকে নির্বাচন করতে হবে। গতকাল সোমবার সকালে চুয়াডাঙ্গার ডিসি সাহিত্য মঞ্চে দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন আরও বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, তার পরিবারের সদস্যরা এবং সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান, তদন্ত ও মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার সফল পরিণতির দিকে আমরা যেতে পারবো। দুর্নীতির মামলায় অনেক আসামী দেশীয় সীমান্তের মধ্যে নেই। তারা কিভাবে কোনো উপায়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে তা সকলেই জানে। এমনও তো হতে পারে যে তারা এই চুয়াডাঙ্গা সীমান্তই পাড়ি দিয়েছে। ফলে কে কোন দেশে অবস্থান নিয়েছে তা আমাদেরও অজানা না।
এসময় গণশুনানিতে চুয়াডাঙ্গার ২৬টি দপ্তরের বিরুদ্ধে ৯৫টি অভিযোগ শুনানি হয়। এর মধ্যে ৩৩টি অভিযোগ তাৎক্ষণিক শুনানিতে নিষ্পত্তি হয়। ৭টি খারিজ হয় এবং বাকি অভিযোগগুলো সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।
গণশুনানিতে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, মহা-পরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক জালাল আহমেদ ও চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) জামাল আল নাসের।