বিনামূল্যে নিজেদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিচ্ছে মেটা

বিনামূল্যে নিজেদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিচ্ছে মেটা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে গুগল ও মাইক্রোসফট নিজেদের গোপন রাখতে সতর্ক। নিজেদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মডেল তারা উন্মুক্ত করতে দিতে চায় না। তবে মেটা তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মডেল বিনামূল্যেই দিয়ে দিচ্ছে। এললামা ২ নামের এই ওপেন সোর্স কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রসঙ্গ আসায় অনেকেই অবাক। মেটার এখানে আসলে সুবিধা কোথায়?

মেটার এললামা চ্যাটজিপিটিকে টেক্কা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত৷ আর যেহেতু এটি ওপেন সোর্স তাই একটি বড় প্রশ্নও রয়েছে। কে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাটির নিয়ন্ত্রণ করবে ও ব্যবহারকারীরা এখানে নিরাপদ থাকবে কি-না এগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যতই উন্নত হচ্ছে ততই ঝুঁকি বাড়ছে৷ কিন্তু টেক কোম্পানিগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে ভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করছে।

জাকারবার্গ সম্প্রতি মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলের সঙ্গে একটি ছবি আপলোড করেন। এ সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ওপেন সোর্স করার সপক্ষে নিজের যুক্তি উপস্থাপন করেন। ফেসবুকে আলাদা একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় অনেক ডেভেলপার কাজ করার সুযোগ পায় তাই এর অগ্রগতিও হয় দ্রুত। যখন সফটওয়ার উন্মুক্ত থাকে তখন মানুষ এর সমস্যা শনাক্ত করে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করে।’

তবে এর কিছু নেতিবাচকতাও রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একসময় মানুষকে হঠিয়ে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এললামার প্রথম সংস্করণ আসার পরই আমরা দেখেছি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিভিন্ন সময়ে বর্ণবাদি লেখা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘৃণা ছড়ায় ব্যাপকভাবে৷ বড় টেক কোম্পানিগুলোও বরাবরই একে বদ্ধ রাখার কারণ হিসেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষতির কথা বলছে। মেটা জানাচ্ছে সব নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। তবে তারা এখনও টিচিং ডাটা উন্মুক্ত করেনি। সম্প্রতি আরেকটি গবেষণায় জানা গেছে, এ আই প্রচুর ডাটা চুরি করে। মেটার মতো কোম্পানির জন্য এটাও একে ওপেন সোর্স করার কারণ হতে পারে।

সূত্র: ইত্তেফাক