বৃষ্টির মধ্যেই সড়কে কার্পেটিংয়ের কাজ করার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদিন কোটচাঁদপুরের রামচন্দ্রপুর সিঙ্গিয়া সড়কে এ কাজ করেন প্রতিষ্ঠানটি। এক বছরের সিকিউরিটি আছে, সড়ক নস্ট হয়ে গেলে মেরামত করে দেয়া হবে বললেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইড ইঞ্জিনিয়ার মিরাজুল হাকিম।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, ওয়েস্টার্ন ইকোনমিক করিডোর এন্ড রিজিওনাল এনহ্যান্সমেন্ট প্রোগ্রাম উইকেয়ার ফেস-১ প্রকল্পের আওতায় ঝিনাইদহে ৮৪.৯৯ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। এর অধীনে কোটচাঁদপুরেও সড়ক ও মার্কেট নির্মানের কাজ এগিয়ে চলেছে। কাজটি যৌথভাবে করছেন রানা বিল্ডার্স ও মিজানুর রহমান নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
গেল ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ সালে কাজটি শুরু হয়। যা সম্পন্ন হবে ১৮ জানুয়ারি ২০২৬ সালে। এর তদারকিতে আছেন কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদিন ছিল বৃষ্টির দিন। ওই বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করেন বলুহর ইউপি অফিস, গোবিন্দপুর বাজার সড়ক ভায়া রামচন্দ্রপুর সিঙ্গিয়া,সড়কে। যা আইডি নাম্বার – ২৪৪৪৪২৩০০৯।
খবর পেয়ে উপজেলা প্রকৌশলী কাজ বন্ধ করতে লিখিত ভাবে জানান প্রতিষ্টানটিকে। এরপরও বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে ওই সড়কের কাজ করেন তারা।
সিঙ্গিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম, মমরেজ মন্ডল ও আতিয়ার রহমান বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদিনই ছিল বৃষ্টি। ওই বৃষ্টির মধ্যেই দেখলাম বড় বড় ট্র্যাকে পিচ ও মেটেরিয়াল আসছে। এরপর দেখলাম বৃষ্টির মধ্যেই তারা কাজ করছেন। আপনারা বাধা দেননি, এমন প্রশ্নে তারা বলেন, আমরা গ্রামের উমি মানুষ। এ কাজ সম্পর্কে কি জানি, আর বলেই বা কি হবে। তাদের কাজ তারা করেই যাবেন। গ্রামবাসী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তাটি নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এ জন্য অনেক কিছু জানার পরও গ্রামের মানুষ প্রতিবাদ করেনি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইড ইঞ্জিনিয়ার মিরাজুল হাকিম বলেন, ১১ টার সময় মেটেরিয়াল সড়কে চলে আসে। আর বৃষ্টির সময় আমরা কাজ বন্ধ রেখে ছিলাম। বৃষ্টির পর পানি পরিস্কার করে,মেশিন দিয়ে ব্যাচমেন্ট শুকিয়ে কাজ করা হয়েছে। বৃষ্টি মধ্যে কাজ করা ঠিক হচ্ছে কি, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বৃষ্টির মধ্যে কাজ করলে কোন সমস্যা নাই। এছাড়া এক বছরের সিকিউরিটি আছে, সড়ক নষ্ট হয়ে গেলে মেরামত করে দেয়া হবে।
প্রজেক্ট ম্যানেজার শামসুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির পানি বেশি হলে সমস্যা হয়। বেশি বৃষ্টি তো হয়নি। এরপরও যদি রাস্তার সমস্যা হয়, সেক্ষেত্রে রাস্তা আবারও করে দেয়া হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্ধার্থ কুমার কুন্ডু বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদিনই বৃষ্টি হচ্ছিল। এই বৈরী আবহাওয়া মধ্যে কাজ করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে লিখিত ভাবে নিশেধ করা হয়। এরপরও তারা কোন কথা না শুনে বৃষ্টির মধ্যেই ওই সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিবেন কি, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ঘটনাটি উদ্ধোতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যা ব্যবস্থা নেবার ওনারা নিবেন।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে মোবাইল যোগাযোগ করা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিসুল ইসলাম সঙ্গে। তবে ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।