বেকার সমস্যা সমাধান একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ

চাকুরির  মাধ্যমে  কর্মসংস্থান সৃষ্টির  ক্ষেত্র  প্রয়োজনের  তুলনায়  সীমিত।  ফলে  বেকার  সমস্যা  সমাধানে  আত্মকর্মসংস্থান  সৃষ্টির  কোন  বিকল্প  নেই।  আত্মকর্মসংস্থান  সৃষ্টির  মাধ্যমে  নতুন  নতুন  ছোট- মাঝারি উদ্যোক্তা  সৃষ্টি  করতে  হবে।  উদ্যোক্তা  সৃষ্টি  করা  সম্ভব  হলে  কর্মসংস্থানের  ক্ষেত্র  বৃদ্ধি  পাবে।
উদ্যোক্তা  সৃষ্টির  জন্য  সরকারি  পর্যায়ে  কর্মসংস্থান  ব্যাংক,  এসএমই  ফাউন্ডেসন, যুব  উন্নয়ন  অধিদপ্তর, মহিলা  বিষয়ক  অধিদপ্তর,  দারিদ্র্য বিমোচন  ফাউন্ডেসন, একটি  বাড়ি  একটি  খামার  প্রকল্প সহ  নানা  উদ্যোগ  রয়েছে। সরকারের  পাশাপাশি  এনজিও  এবং  বেসরকারি  বেশ কিছু   প্রতিষ্ঠান  গড়ে  উঠেছে।
আত্মকর্মসংস্থান  সৃষ্টি  এবং  উদ্যোক্তা  সৃষ্টিতে  এসকল  প্রতিষ্ঠান  সক্রিয়  থাকলেও   নানাবিধ  সীমাবদ্ধতা  রয়েছে।
যেকোন  ছোট, মাঝারি, বৃহৎ  প্রতিষ্ঠান  গড়ে  তুলতে   মূলধনের  প্রয়োজন  হয়।  যেটি  আমাদের  বেকার  যুবদের  সবচেয়ে  বড়  চ্যালেঞ্জ।  মূলধনের  জন্য  ঋণ  সহায়তা  থাকলেও  তা   প্রয়োজনের  তুলনায়   কম   এবং  ঋণ  প্রাপ্তিতে  নানা  জটিলতা  রয়েছে।
যুব  উন্নয়ন  অধিদপ্তর  সারাদেশে  বেকার  যুবদের  কর্মসংস্থান  সৃষ্টির  জন্য  কাজ  করে  আসছে।
প্রতিটি  জেলায়  রয়েছে  আবাসিক  প্রশিক্ষণ  কেন্দ্র  যেখানে  ৩ মাস  মেয়াদি  কৃষিভিত্তিক— মাছ চাষ, গবাদিপশু – হাঁস, মুরগি  পালন, কৃষি খামার স্থাপন, গরু মোটাতাজাকরণ, এবং পশু চিকিৎসার  প্রাথমিক  প্রশিক্ষণ  প্রদান  করা  হয়।
প্রতিটি  জেলায়   ৬ মাস  ব্যাপি  কম্পিউটার, সেলাই, ইলেক্ট্রিক্যাল, ইলেক্ট্রোনিকস , মোবাইল  ফোন  সার্ভিসিং  বিষয়ে  অনাবাসিক  প্রশিক্ষণের  ব্যবস্থা  রয়েছে।
দেশের  প্রতিটি  উপজেলায়  রয়েছে  চাহিদা ভিত্তিক  স্বল্পমেয়াদি  ভ্রাম্যমান  প্রশিক্ষণ  কোর্সের  ব্যবস্থা।
তবে,  প্রয়োজনের  তুলনায়  ঋণ  সুবিধা  অপ্রতুল।  যুব  উন্নয়ন  অধিদপ্তরের  প্রশিক্ষণ  সনদ  দিয়ে  কর্মসংস্থান  ব্যাংক, জনতা  ব্যাংক  থেকেও  ঋণ  গ্রহন  করা  সম্ভব।
বেকার  যুবদের  হতাশায়  না  ভুগে  যুব  উন্নয়ন  অধিদপ্তরের  যেসকল  প্রশিক্ষণ  কোর্স  রয়েছে  চাহিদা  মাফিক  সেসকল  প্রশিক্ষণ  গ্রহন  করে  কাজের  দক্ষতা  অর্জন  করে  তা  কাজে  লাগাতে  হবে।  তাহলে  আত্মকর্মসংস্থান  সৃষ্টির  মাধ্যমে  উদ্যোক্তা  সৃষ্টি  হলে  বেকার  সমস্যা
সমাধান  সম্ভব  হবে।  দেশ  সমৃদ্ধ  হবে।

নওশার আলী হীরা

সভাপতি, স্বাধীনতা লেখক পরিষদ