বেগুনের সাথে মুলা চাষে সফল মিরপুরের ফারুক

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বলিদাপাড়া এলাকায় একময় তামাকের ব্যাপক চাষ হতো। কিন্তু কয়েক বছর ধরে সবজির চাষের দিকে ঝুঁকেছে চাষীরা।স্বল্প সময়ে বেশি লাভ হওয়ায় তারা বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছে।

বছর চারেক আগে ৩ বিঘা জমি লিজ (ইজারা) নিয়ে সবজি চাষ শুরু করেন বলিদাপাড়া কৃষক ফারুক আহমেদ। তারপর থেকে সেই জমিতে বিভিন্ন সময়ে নানান সবজির চাষ করেন তিনি।

এক বিঘা জমিতে বেগুনের আবাদ করেছেন। সেই জমিতেই বেগুন গাছের ফাকে ফাকে মুলার আবাদ করেছিলেন। দুই মাসেই মুলা উত্তোলন করে প্রায় ৪০ হাজার টাকার বিক্রি করেছেন। এবং বেগুন গাছেও বেগুন তোলার উপযোগী হয়েছে।পাশাপাশি পেয়াজ চাষের জন্য প্রস্তুত করেছেন আরও দেড় বিঘা জমি।

শুক্রবার (২৭ নশেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, ফারুক আহমেদ ও তার স্ত্রী বাজারে বিক্রির জন্য ক্ষেত থেকে বেগুন ও মুলা উত্তোলন করছেন।

বেগুন চাষ করে লাভবান হয়েছেন তিনি। পাশাপাশি উদ্বৃত্ত হিসেবে আরও লাভ পেয়েছেন মুলার শাক ও মুলা বিক্রি করে।

কৃষি বিভাগের পরামর্শে এ বছর ৩৩ শতক জমিতে বেগুন চাষ করেছেন। ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ করে ইতোমধ্যে ৪০ হাজার টাকার মুলা বিক্রি করেছেন। এবং বেগুন বিক্রি করা শুরু করেছেন।

কৃষক ফারুক আহমেদ বলেন, আগে অন্যের জমিতে কৃষি কাজ করতাম। তারপর কৃষি অফিসারের পরামর্শে চার বছর আগে ৩ বিঘা জমি লিজ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সবজির আবাদ শুরু করি। এখন জমিতে বেগুন রয়েছে। আবার একই জমিতে মুলার আবাদও করেছি সাথী ফসল হিসেবে। এছাড়াও ফুলকপি রয়েছে কিছু জমিতে এবং পেঁয়াজ চাষের জন্য দেড় বিঘা জমি তৈরী করছি।

তিনি বলেন, ৩৩ শতক জমিতে বেগুন চাষ করেছিলাম। ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ করে ইতোমধ্যে ৪০ হাজার টাকার মুলা বিক্রি করেছি। এছাড়া ক্ষেতে যা বেগুন আছে তা বিক্রি করলে লাখ ৭০-৮০ হাজার পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।

মিরপুর উপজেলা উপসহকারী কৃষি অফিসার মাহিরুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় বিভিন্ন শাক সবজির চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষক ফারুক আহমেদ বেগুন ক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে মুলা চাষ করে লাভবান হয়েছেন। এছাড়াও তার ক্ষেতে আরও অন্যান্য সবজি আছে। আমরা তাকে সার-বীজসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেছি।