ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত আরাবির পাশে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রসাশক ড. কিসিঞ্জার চাকমা

ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত আরাবির পাশে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রসাশক ড. কিসিঞ্জার চাকমা

ফুট ফুটে মেয়ে আরাবিকে বাচাঁতে সমাজের বৃত্তবান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত ভাবে এগিয়ে আসার আহব্বান জানালেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রসাশক ড. কিসিঞ্জান চাকমা।

আজ শনিবার বেলা ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছুটে আসেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জান চাকমা ও দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা দর্শনা মোবারকপাড়া আরাবির বাসভবনে। এ সময় তিনি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু গিফট প্রদান করেন।এবং আর্থিক সহযোগীতা করেন।

দর্শনা মোবারক পাড়ার মনির হোসেনের মেয়ে আরাবি (১০) গত ৩ বছর ধরে ইমিউন ডিসরেগুলেশন হাইপারইনফ্লামেশন সিনড্রোম নামের জটিল ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত তাকে দেখতে এসে এমনি আহবান জানান জেলা প্রসাশক। এ রোগটি বিরল লাখে ১ জনের এ রোগটি হয় কি সন্দেহ। জেলা প্রসাশক ড. কিসিঞ্জান চাকমা ও দামুড়হুদা উপজেলা নিবার্হী অফিসার রোকসানা মিতা এসময় আরাবির জন্য পোষাক নিয়ে আসেন এবং তার চিকিৎসার সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন সাংবাদিকদের কাছে। তিনি আরো বলেন দেশের ১৭ কোটি মানুষ যদি এগিয়ে তাহলে আবাবির এ ব্যয় বহুল (৬০ লাখ) টাকা দিয়ে চিকিৎসা করা অসম্ভব নয়। তিনি আশ্বাস দেন দামুড়হুদা উপজেলা প্রসাশন ও জেলা প্রসাশন থেকে আমাদের সাধ্যমত সহযোগিতা করবো। এরা পাশপাশি সমাজের বৃত্তবান ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানান তিনি।

আগামী বৃহস্পতিবার আরাবিকে ভারতের বেঙ্গালুররে নারায়ানা হেল্থ সিটির শিশু হেমাটোলজিষ্ট ও অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন বিশেষজ্ঞ হাসপাতালের ডাঃ সুনীল ভাট এর নিকট তার চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে বলে আরাবির পিতা মনির হোসেন জানান। যেখানে আরাবির চিকিৎসার খরচ পড়বে ৬০ লাখ টাকা। তবে তার পক্ষে এ ব্যয় ভার বহন করা সম্ভব নয়। প্রশাসন ও মানুষের ভরসা ও কিছু সহযোগিতা পেয়ে আরাবিকে বেঙ্গালুওে নেওয়া হচ্ছে। গত ৩ বছর ধরে ভারত ও বাংলাদেশে আরাবির বাবা মা আবারিকে নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করে আসলেও কি রোগ হয়েছে এ সম্র্পকে জানতে পারিনি। ভারতের ঠাকুরপুর হাসপাতালে ১৩ দিন ভর্তি থাকার পর গত ২রা ফের্রুয়ারী-২০২৪ তারিখ সেখানে ডিএনএ টেস্ট করা পর ধরা পড়ে ইমিউন ডিসরেগুলেশন হাইপারইনফ্লামেশন সিনড্রোম নামের জটিল ব্লাড ক্যানসার রোগটি ধরা পাড়ে।

গত ২০২২ সালের জুলাই আরাবি অসুস্থ্য হলে আরাবির বাবা-মা তাকে নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে পাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। কোন চিকিৎসক রোগটি ধরতে পারে না। আবশেষে ভারতের ঠাকুরপুর একটি হাসপাতালে নেওয়ার পর তার ডিএনএ পরীক্ষা করে তার এ জটিল ক্যান্সার ধরা পড়ে। তারপর বেঙ্গালুরে নেওযার পরামর্শ দেন ঠাকুরপুর হাসপাতালের ডাক্তার। এরপর তাকে বেঙ্গলুরের নেওয়া হলে সেখানকার ডাক্তার সুনীল ভাট তাকে চিকিৎসক জানিয়েছে যত দ্রুত আরাবির বোন ম্যারো ট্রন্সপ্লাটেশন (অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন) করার পরামর্শ দেন। এত বেশি পরিমান অর্থ না থাকায় আরবিকে দেশে নিয়ে আসে।

প্রসাশন ও এলাকার মানুষের সহযোগিতায় আবার তাকে বেঙ্গালুরে নেওয়া হচ্ছে। তার চিকিৎসার ব্যয়ভার নিবার্হ করার জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রির কাছে সহযোগিতার দাবী করেন এলাকাবাসী ও তার পরিবার। আরাবি দর্শনা লিটিল এনজেল স্কুলে ২য় শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী। সে ভাল ছবি আঁকতে পারে এবং বাই-স্ইাকেল চালাতে পারে। বর্তমানে সে সারক্ষণ কেঁেদ বলে মা আমাকে বাচাঁও, আমি বাঁচতে চাই, আমি আবার ছবি আকবো, সাইকেল চালাবো। উল্লেখ্য ১৯৮৯ সালে আরাবির ছোট চাচা মেধাবী ছাত্র জাহিদুল ইসলাম বন ক্যন্সারে মারা গেছে।