ভোট উৎসব যেন উৎসবই হয়

২য় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামি ১১ নভেম্বর। সারাদেশের ৮৪৮টি ইউনিয়নের মধ্যে মেহেরপুরের ৯টি ইউনিয়নে এ ধাপে নির্বাচন হবে। ইতোমধ্যে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়া শেষ হয়েছে। ৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪৯ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৩৩ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৯৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হওয়ার পরপরই সম্ভাব্য সকল প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়া, কুশল বিনিময়, নিজের প্রার্থীতা ঘোষনা, ভোট চাওয়াসহ নির্বাচনী প্রচারণা অংশ হিসেবে যা যা করার সবই শুরু করেছেন। অধিকাংশ ইউনিয়নে ৫জনের অধিক প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে, ওয়ার্ডগুলোতে ৪জনের অধিক প্রার্থী সদস্য পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সব মিলিয়ে ৪৮১ জন প্রার্থী ১১ নভেম্বরের ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। প্রার্থীতা যাচাই বাছাই ও প্রত্যাহারের সময় কিছু প্রার্থী কমে গেলেও ভোটযুদ্ধে থেকে যাবেন অধিকাংশ প্রার্থী।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামোতে প্রতি ৫বছর পরপর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নাগরিকরা তাদের ভোটাধিকারের মাধ্যমে ৫ বছর পরপর তাদের পছন্দের একজনকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করার সুযোগ পান। আগামি ১১ নভেম্বর নাগরিকদের প্রত্যাশা একটাই যাতে নিরেপক্ষ ভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। ভোটের দিন যেন উৎসবের দিনে পরিণত হয়। সরকার, স্থানীয় প্রশাসন যেন ভোটের উৎসবকে সত্যিকারের উৎসবে পরিণত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

ভোটের উৎসবে হাঙ্গা দাঙ্গামা যেন কোনভাবে সৃষ্টি না হয় সেদিকে কঠোর নজরদারি রাখা। তৃণমূলের এ ভোট উৎসব যেন নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে পারে। এই উদ্দীপনায় অংশ নিতে প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকদেরও নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগীতা করতে হবে। নাগরিক হিসেবে জনসাধারণ একটাই প্রত্যাশা করে, ভোট উৎসব যেন উৎসবই হয়।