ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে আহত বাংলাদেশী যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
গত ১৭ মে মহেশপুর সীমান্তের শ্যামকুড় “চেয়ারম্যান ঘাট” এলাকায় এই গুলির ঘটনা ঘটে। নিহত বাংলাদেশী যুবকের নাম নাসির উদ্দীন (৪৪)। নাসির উদ্দীন মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় পশ্চিমপাড়ার লুৎফর রহমানের ছেলে। ১৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার (৩০ মে) ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নাসির উদ্দীনের প্রতিবেশীরা জানান, গত ১৭ মে শ্যামকুড় গ্রামের নাসির, একই উপজেলার পদ্মপুকুর গ্রামের বর্ডার রিপন ও অনন্তপুর গ্রামের সোহাগ ভারত সীমান্তে গেলে পাখিউড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে প্লাস্টিক বল এ্যামিনেশন (ছররা গুলি) নিক্ষেপ করে। গুলিতে নাসিরসহ তার দুই সহযোগী আহত হন। বিষয়টি গোপন রেখে গুলিবিদ্ধরা গোপনে চিকিৎসা নেন। অন্য দুইজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও নাসির মারা যান।
স্থানীয় শ্যামকুড় ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বর শহিদুল ইসলাম জানান, গত ১৭ মে সীমান্তের “চেয়ারম্যান ঘাট” এলাকায় নাসির গুলিবিদ্ধ হন। সীমান্ত এলাকায় গেলে ভারতের পাখিউড়া বিএসএফ’র সদস্যরা তাকে গুলি করে। পেটে ও বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে নাসির অত্যান্ত গোপনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার (৩০ মে) ভোরে তিনি মারা যান।
নিহত নাসিরের প্রতিবেশি চাচা শ্যামকুড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহানুর বলেন, ভাতিজা মারা গেছেন এটা সত্য, তবে কিভাবে মারা গেছেন তা আমি জানিনা। শুক্রবার জুম্মাবাদ তার দাফন হয়েছে বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।
মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল রফিকুল আলম বলেন, ঘটনা জানতে পেরে আমরা সেখানে বিজিবি পাঠিয়েছিলাম কিন্তু নাসির উদ্দীন বিএসএফের গুলিতে আহত হয়েছিল কিনা তার সত্যতা পাওয়া যায়নি এবং পরিবারের পক্ষ থেকে এমন কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য এর আগে গত ১১ এপ্রিল বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে ওয়াসিম ও ২৭ এপ্রিল একই উপজেলার গোপালপুর গ্রামের হানিফ আলীর ছেলে ওবাইদুর রহমান বিএসএফ এর গুলিতে নিহত হন। দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও বিএসএফ দুই বাংলাদেশীর লাশ এখনো ফেরৎ দেয়নি। তবে বিজিবি বলছে নিহত দুই বাংলাদেশীর লাশ বিএসএফ ভারতীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ কারণে লাশ ফেরৎ পেতে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।