মাটি ও মানুষের সম্পর্ক সুন্দর হোক

মাটি ও মানুষের সম্পর্ক সুন্দর হোক

আমাদের মেহেরপুরের সীমান্ত গ্রাম হরিরামপুর। গ্রামটিতে প্রবেশ মুখে ফসলের জমিন দেখে অনেকদিন আগে দেখা একটি বিখ্যাত তামিল মুভির কাহিনী স্মৃতিতে ভেষে উঠলো। মুভিটির নাম কোনভাবেই মনে করতে পারছিনা। কহিনীটা এমন- নিউইয়র্কে ম্যানহটনের ৭০ তলায় উচ্চপদে চাকুরি করা গ্রামের এক যুবক ফিরে আসে দেশের নিজ গ্রামে। বিকেলে গ্রামে ঘুরতে দেখতে পান বয়োবৃদ্ধ এক কৃষক জমিতে কাজ করছেন। ওই কৃষকের কাছে যুবক জানতে চান- সকলেই কৃষি কাজ ছেড়ে দিয়েছে। আপনি এই বয়সেও কাজ করছেন কেন? বৃদ্ধের সগর্ভ উত্তর। জমিতে ফসল উৎপাদনের কাজ করছি বাবা। কৃষিকাজ ছেড়ে দিয়ে কী খাবো। পরিবারের মানুষকে কী খাওয়াবো। যারা কাজ ছেড়ে দিয়েছে তারা আশা হারিয়ে ছাড়েনি। ক্লান্ত হয়ে ছেড়েছে। তারা যদি ফের জমিনে আসে তবে জমিন তাদের কাছে টেনে নেবে। আমি এই জমিনে জন্মেছি। আর এই জমিনেই মরবো। যুবক গ্রামের বাড়ি ফিরে আসে। একদিন জেলার সরকারি কর্মকর্তাসহ গ্রামের সকলকে একত্রিত করে কৃষিতে মনোনিবেশ করতে বলেন। জানান নিউইয়র্কে ম্যানহটনের ৭০ তলায় বসে বসে তিনি কৃষি নিয়ে ভাবতেন। এই জন্মভূমিতে পা ফেলেই বুঝতে পেরেছি পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের এই কৃষি কাজের সাথে সম্পর্ক আছে। একজন কোটিপতি মানুষের সকালের জ্যাম জেলি পাওরুটি থেকে শরু করে গরিবের জাও ভাত। যাদের বেঁচে থাকার জন্য খাবার দরকার তাদের এই কৃষিকাজের সাথে সম্পর্ক আছে। যাঁরা আমাদের জন্য ফসল ফলাচ্ছে তাদের ও এই কৃষি কাজের সাথে সম্পর্ক ছাড়া আমরা বেঁচে আছি।

এক সরকারি কর্মকর্তা জানতে চান কিসের সম্পর্ক । কৃষক কৃষি কাজ করে। আমরা আমাদের কাজ করি। কৃষক টাকার জন্য, আমরাও টাকার জন্য কাজ করি।

যুবক বলেন- আপনারা বেতনের টাকা না পেলে কী করবেন?
জমানো টাকা থেকে খরচ করবো।
যদি জমানো টাকা ফরিয়ে যায়, ছমাস বেতন না দেয় দখন কী করবেন?
এই চাকুরি ছেড়ে দিয়ে আর একটি চাকরি খুঁজবো।

যদি কৃষকরা তাই ভাবে তখন কী হবে? প্রতিদু‘বছর পর বেতন বৃদ্ধি না হলে আমরা আন্দোলন করি। কিন্তু কৃষকরা বছরের পর বছর ফসল ফলালেও লাভের মুখ না দেখলেও সে তার বপন করা বীজে সারাজীবন সফলতার আশা খুঁজতে থাকে। এমন কৃষক আর আমরা কী ভাবে এক হতে পারি।

কী করবো তাহলে, চাকরি ছেড়ে কী চাষাবাদ শুরু করবো?
চাষাবাদ কাপড় বদলাবার মতো এমন সহজ না। এটা মাটি আর মানুষের সুন্দর সম্পর্ক। এটা এমন এক বিজ্ঞান যা বিজ্ঞানীরাও বুঝতে পারেনা। শুধু কৃষকই তা বুঝতে পারে। একজন কৃষক আত্মহত্যা করলেও আমরা পরোয়া করিনা। এটা সংবাদপত্রে মামলি খবরে পরিণত হয়। একজন কৃষকের মৃত্যুতে যে কী পরিমান ক্ষতি হয় তা আমরা বুঝতেও পারিনা। বর্তমানে কৃষি জমির পরিমান কমে যাচ্ছে। আর ভোক্তার সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। যার ফলে দ্রব্যমূল্যে বৃদ্ধির সাথে সাথে খাদ্যে ভেজাল হচ্ছে। আর এভাবে যদি চলতেই থাকে তাহলে আমাদের ভবিষৎ প্রজন্রে হাসপাতালের খরচটাও জুটবেনা। জমির দাম বাড়ছে আর কৃষকের দাম কমছে। জমির দাম বৃদ্ধির সাথে যদি আমরা ভবন নির্মাণ করতে থাকি তাহলে আমরা বাঁচার জন্য খাব কী? এজন্য কৃষক তার কৃষির জন্য ছেলেকে কৃষক বানাতে চাইনা। আমাদের নতুন প্রজন্ম জানেই না কৃষিকাজ কী? ভবিষৎ প্রজন্ম শুধু কৃষিকাজ দেখতে পাবে বইয়ের পাতায়। কৃষকরা একসময় সাহস নিয়ে বেঁচে থাকতো। কিন্তু এখন তারা ভয় নিয়ে বেঁচে থাকছে। সে ফসল ফলাতে ভয় পায় সার, পানি াষাবাদ উপকরণ আশংকায়। ওপর বৃষ্টি নেই। ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক। এরমধ্যেই কৃষক কস্টের ফসল ঘরে তোলে। সেই ফসল রক্ষা করতে ভয় পায়। সেই একই ভয় নিয়ে নামমাত্র দামে বিক্রি করে। আর মহাজনেরা দশগুণ লাভে বিক্রি করে। যার ফলে যে কৃষক উৎপাদন করছে তার ক্ষতি হচ্ছে। খাদ্যের ভোক্তা সেটা কিন্তু আমরা সবাই। আমরা ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। আপনারা জানেন কেন এমন হচ্ছে। কারণ আমরা কৃষকদের সাথে সম্পর্ক ছাড়া বেঁচে আছি। কৃষককে বাঁচাবার দায়ীত্ব শুধু সরকারের না। আমাদের সকলের। এই কারণে কৃষকদের সুরক্ষার জন্য আমি আমার উপর্জনের ৯০ ভাগ কৃষকদের উন্নয়নে দান করেছি। যাতে গ্রামে গ্রামে গড়ে ওঠে ফসল সংরক্ষনাগার। যেখানে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল সংরক্ষন করবেন। এখানেই মুভির যবনিকা নামে।

এমন যুবকের এখন আমাদের বড় প্রয়োজন। মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার তারানগরসহ বিভিন্ন গ্রামবাসীর কাছে পানি মানেই মরণ। তারানগর গ্রামের পানিতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের তথ্যে ৯৩দশমিক ৫০ ভাগ আর্সেনিক। সীমান্তবর্তী গ্রামটিতে আড়াই হাজার মানুষের বসবাস। আর্সেনিক আক্রান্ত হয়ে এই গ্রামের একই পরিবারের কিতাব আলী মল্লিক, ছেলে রবজেল মল্লিক, রিতাজ মল্লিক, মাহমুদ মল্লিক, ভাবি সোনাভানু, চাচা নুর মোহাম্মদ মল্লিকসহ গ্রামের ৫০জনেরও বেশী মানুষ মারা গেছে (গ্রামবাসীর দাবি)। গ্রামের ১৬৫টি টিউবয়েলের মধ্যে ১৬০টিতেই অতিরিক্ত মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক সনাক্ত হয়েছে। জেলার মানুষ পানির সাথে প্রত্যক্ষভাবে এবং পরোক্ষভাবে জেলায় উৎপাদিত সবধরণের খাদ্যসামগ্রির সাথে আর্সেনিকোসিস পান করছি।

মেহেরপুর জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের গত এপ্রিল ২০২৩ শেষ হওয়া এক জরিপে জেলার ১৮টি ইউনিয়নে ৩০ হাজার টিউবয়েলের পানি পরীক্ষা করে ৩ হাজার ৮০৬টি টিউবয়েলের মাত্রাত্রিরিক্ত আর্সেনিক পেয়েছেন।

জনস্বাস্থ্য বিভাগের মতে মেহেরপুর সদর উপজেলার হরিরামপুর, মনোহরপুর, উজ্জলপুর, কুলবাড়িয়া, তেরঘরিয়া, শোলমারি এলাকার মাঠে সেচনির্ভর জমিগুলোতে এমন আর্সেনিকের স্তর চোখে পড়ার মতো। জেলায় মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে সদরে আমঝুপি, বেলতলাপাড়া, বুড়িপোতা, শোলমারি, উজ্জলপুর, সুবিদপুর, গাংনী উপজেলার ভোলাডাঙ্গাও তেতুলবাড়িয়ায়, মুজিবনগর উপজেলার জয়পুর ও তারানগর গ্রামে। সবচেয়ে বেশী ভয়াবহতা গাংনীর ভোলাডাঙ্গা ও মুজিবনগর উপজেলার তারানগর ও জয়পুর গ্রামের ভূগর্ভস্থ পানিতে। এসব এলাকার জমিতে সেচ দেয়ার পর আর্সেনিকের লাল স্তর ভাবিয়ে তুলেছে মানুষকে। এই আর্সেনিক উৎপাদিত ফসলের মাধ্যমে সচেতনতার অভাবে মানুষ খেয়ে ফেলছে। জেলার জন প্রতিনিধি, বেসরকারি এনজিওর প্রতিবেদন অনুয়ায়ী দুই শতাধিক মানুষ আর্সেনিকোসিস রোগে মৃত্যুবরণ এবং দশ সহস্রাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মেহেরপুর জনস্বাস্থ্য বিভাগ নিরাপদ পানি পেতে গ্রামে গ্রামে নিরাপদ পানির প্লান্ট স্থাপন ও রিং টিউবয়েল স্থাপন করেছেন। গ্রামবাসীদের বিদ্যুৎ বিল দিতে হবে বলে পানির প্লান্ট ব্যবহার না করায় অকেজো হয়ে পড়ে আছে সেসব পানির প্লান্ট।

কৃষি নির্ভর মেহেরপুর জেলা। জেলায় উচ্চ ফলনশীল ধানসহ সেচনির্ভর সারাবছর সবজি চাষ হয়। উচ্চ ফলনশীল ধান ও সবজি চাষে প্রচুর পানি সেচ দিতে হয়। আর এ পানির অধিকাংশই আসে অগভীর নলকূপ থেকে। মাটির তলদেশে এত পরিমান আর্সেনিক যে- সেচ দেয়া জমির ওপরাংশ শুকিয়ে গেলেই চোখে পড়ে জমিতে কী পরিমান তলদেশ থেকে আর্সেনিক উঠে এসেছে। কারণ সেচের ওই জমিতে মাটির উপরাংশ আর্সেনিক স্তর পড়ে লাল হয়ে যাচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে আর্সেনিকযুক্ত পানি দিয়ে জমিতে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন ফসল। আর সেসব ফসল বিভিন্ন সুপারশপ ও খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

প্রাকৃতিকভাবে পানির প্রাপ্যতা কমে যাওয়ায় সেচ নির্ভর চাষাবাদ এখন শতভাগ জমি। এর ফলে মাটির অনেক নিচ থেকে তুলে আনা পানির সঙ্গে আসছে আর্সেনিক। আর এ পানি দিয়ে চাষাবাদের ফলে ফসলেও মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকের উপস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে কৃষি বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকদের। চিকিৎসকদের মতে অন্যান্য খনিজ পদার্থের মতো আর্সেনিকও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য সামান্য পরিমাণ প্রয়োজন। আর এই সামান্য পরিমাণ আর্সেনিক প্রতিদিন শাক-সবজিসহ বিভিন্ন উদ্ভিদ জাতীয় খাবারের মাধ্যমে মানুষ পেয়ে থাকে। কিন্তু এর পরিমাণ একটু বেশি হলেই স্বাস্থ্যের জন্য ভয়ঙ্কর বিপদ। কৃষি বিশেষজ্ঞদের দাবি, নদী-নালা, খাল-বিলে পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করে শীত মৌসুমে ফসলি জমিতে সেচে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে।

সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের আবদুর রহমান একজন কৃষক। তার সবজি চাষের জমিতে দেখা যায় গভির নলকুপ মাধ্যমে সেচ দেয়াতে মাটির ওপর মোটা আস্তরণ পড়েছে আর্সেনিকের। রহমানের মতে জমি চাষ দিলেই এসব রং হারিয়ে যায়। তিনি জানেন না এই আর্সেনিক উৎপাদিত সবজির মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে।

একজন কৃষি বিজ্ঞানী বলছেন- কৃষি জমিতে মাত্রাতিরিক্ত সেচের কারনে ব্যাপক ভিত্তিতে ভূগর্ভস্থ্য পানি উত্তোলন হচ্ছে। ফলে সেচের পানি এবং ফসলে আর্সেনিকের উপস্থিতি বাড়ছে। বেশকিছু গ্রামে মারাত্মক ভয়াবহতা দেখা দিয়েছে। বছরের পর বছর ধরে আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করে শত শত মানুষ চর্মরোগ, কিডনি. যকৃত, হার্টের প্রদাহ, স্নায়বিক রোগ, স্থির জন্ম এবং ক্যান্সারসহ মারাত্বক জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

জেলার অধিকাংশ মানুষের ভরসা যেখানে জমি, সেখানে মাটির এমন হাল কেন? বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনায় তিনটি কারণ সামনে এসেছে। প্রথম, অতিরিক্ত পরিমাণে রাসায়নিক সার প্রয়োগ। এছাড়া জৈব সারের প্রয়োগ কমিয়ে দেওয়া ও সারা বছর ধরে বিরামহীন চাষও মাটিতে অম্লত্ব বাড়ার কারণ। বিশেষজ্ঞেরা জানান, জেলায় সবথেকে বেশি তামাক, ধান, কফি ও আলু চাষ হয়। প্রতি বছরই উৎপাদন বাড়াতে রাসায়নিক সারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিচ্ছেন চাষিরা। ফলে ধান, আলু উৎপাদনের ব্লকগুলিতেও জৈব কাবর্নের পরিমাণ কমে আসছে। হারিয়ে যাচ্ছে উপকারী জীবাণুও।

এনিয়ে কিছুদিন আগে কথা হলো কৃষি বিজ্ঞানী শঙ্কর কুমার মজুমদারের সাথে। তিনি জানালেন- ‘‘মাটিকে বলা হয় খাদ্য শস্যের ভান্ডার। মাটিতে খাদ্যশষ্য জন্মায় এবং সেই খাদ্য মানুষের স্বাস্থ্যের পুষ্টি ও শক্তি জোগায়। মাটির উপকারী জীবাণু বেঁচে থাকে জৈব কাবর্নের উপর নির্ভর করে। যে ব্লকগুলিতে সব্জি চাষ হয়, রাসায়নিক সার কম প্রয়োগ হওয়ায় সেখানে জৈব কাবর্নের পরিমাণ ভাল। মাটি যত অম্ল হচ্ছে তত হারিয়ে যাচ্ছে উপকারী জীবাণু।” তিনি আরও বলেন ‘বারবার করে বলা সত্ত্বেও চাষিদের বেশিরভাগই মাটি পরীক্ষা না করে চাষাবাদ করেন। কোনও বছর ফসল কম হলে পরের বছর স্বাভাবিক ভাবেই সারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন তাঁরা। ফলে দু’দিক থেকেই ক্ষতি হয়। একদিকে চাষের খরচ বাড়ে, অন্যদিকে মাটিতে অম্লত্ব বেড়ে হ্রাস পায় উর্বরতা। তিনি স্বীকার করেন- কৃষি বাঁচাতে মাটির তলদেশ থেকে পানি সেচ হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। নাহলে আমাদের পানি নিয়ে যুদ্ধ কয়েক কদম দুরে। আর জেলার মাটির তলদেশে আর্সেনিকোসিসের আঁধার। যা উৎপাদিত খাদ্যশষ্য, ফলমূলের মাধ্যমে মানুষকে খেতে হচ্ছে মৃত্যুকে কাছে পেতে।

১৯৮০ সালের গোড়ার দিকে মেহেরপুর সীমান্তের ওপারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রথম আর্সেনিক দূষণের কথা সবার নজরে আসে। আমাদের দেশের কৃষিবিভাগ ও সরকার সেসময় তৎপর হয়। কিন্তু এই সমস্যা সমাধানে একেবারেই উদাসীন। আর এর জের টানতে হচ্ছে গ্রামীণ এই দরিদ্র জনগোষ্ঠীসহ সব শ্রেণির মানুষকে। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে পানি ও আর্সেনিকযুক্ত উৎপাদিত খাদ্য গিলতে হচ্ছে আমাদের। এছাড়া আর বিকল্প কিছুই নেই। জেনে শুনে এই বিষপান বন্ধে রাস্ট্রিয়ভাবে আগেই ব্যবস্থা নেয়া দরকার ছিল। এখনও সময় আছে। নাহলে মেহেরপুরের মানষের মৃত্যুই হবে সাথী। মাটি ও মানুষের সম্পর্কর হবে চরম অবনতি। নাহলে হারিয়ে যাবে মাটি ও মানুষের সুন্দর সম্পর্ক।

তোজাম্মেল আযম
লেখক ও সাংবাদিক