মিরপুর মাজিরহাটে মাঠের পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ, হুমকির মুখে ফসলী জমি ও বসতি

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের মাজিরহাট গ্রামে মাঠের পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বেশ কিছু ফসলি জমি অনাবাদিতে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু বাড়ি-ঘর জলাবদ্ধতার কারনে হুমকির মুখে পড়েছে। এ

ঘটনায় দ্রুত মাঠের জলাবদ্ধতার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জানা গেছে, উপজেলার মাজিরহাট জিয়েলগাড়ী ও মহিষাদাড়ী গ্রামের মাঠের ৫-৭শ বিঘা ফসলি জমি রয়েছে। সেখানে বর্ষাকালে জমে থাকা বৃষ্টির পানি ওই গ্রামের রাস্তার কালভার্টের মুখ দিয়ে নিষ্কাশন হতো।

দীর্ঘদিন ধরে এ মাঠের পানি নিষ্কাশনের জন্য হাজীর খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশন করা হতো। হঠাৎ ই সেই মাঠের পানি নিষ্কাশনের খালটির কিছু অংশ জোরপূর্বক মাটি দিয়ে ভরাট করে দেয়। মাজিরহাট গ্রামের বাধপাড়া এলাকার মৃত জিন্দার আলীর ছেলে ঈদবার আলী, আঃ হান্নান ও মান্নান তিন ভাই যোগসাজশে এ খাল ভরাট করে। যার ফলে মাঠের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় পানি জমে ক্ষেতের ফসল নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া এতে জিয়েলগাড়ী ও মহিষাদাড়ী গ্রামের ঘরবাড়িও পানিতে নিমজ্জিত হয়। এতে ভোগান্তি বেড়েছে হাজারো পরিবারের।

কৃষক জহুরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিনের এ মাঠটির পানি নিষ্কাশনের জন্য এই হাজীর খালটি ব্যবহার করা হতো। আমদের বাপ দাদাদের সময় থেকে এটি ব্যাবহার হয়ে আসছে। অথচ ঈদবার আলী, আঃ হান্নান ও মান্নানদের এলাকার প্রভাবশালী ও লাঠির জোর থাকায় তারা জোরপূর্বক খালের মাথার অংশ ভরাট করে দেয়। শুধু তাই নয়, সেই খাল থেকে ক্যানেলে পানি নিষ্কাশনের জন্য সরকারি কালভার্টের এক অংশে মাটি ভরাট করে ধানের চারা বপন করেছে। একটু বৃষ্টিতেই পুরো মাঠের জমির পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

কৃষক আয়নাল মন্ডল, লিয়াকত আলী মোল্লা, আইজেল মোল্লা বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে ফসলি জমি অনাবাদি জমি হিসাবে পরিণত হয়েছে। এছাড়া মাঠে পানি বৃদ্ধির কারণে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে পড়েছেন আশেপাশের এলাকার বেশ কিছু পরিবার। দ্রুত মাঠের জলাবদ্ধতার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান তারা।

মহিষাগাড়ী (১ নং ওয়ার্ড) আ’লীগের সভাপতি মিরাজুল ইসলাম জোয়ার্দার বলেন, কয়েক গ্রামের এ মাঠে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের জন্য একশো বছরের হাজী খালটি ব্যবহার করে আসছে কৃষকরা। কিন্তু হঠাৎই এ খালের কিছু অংশ ভরাটের ফলে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় ফসল নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানকে আমরা বেশ কয়েকবার বলেও পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করতে পারিনি। খাল বন্ধ করা আঃ মান্নানের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

এ ব্যাপারে কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর আলী বলেন, বিষয়টি স্থানীয় লোকজন আমাকে জানিয়েছে। দ্রুত উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।