মুজিবনগরে আত্মীয়কে চরিত্রহীন আখ্যা দিয়ে বাড়ির মালিকের কাছে চাঁদা দাবী

বেড়াতে আসা নিকট আত্মীয়কে মিথ্যা চরিত্রহীন আখ্যা দিয়ে একটি পরিবারের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেছে স্থানীয় একটি মাদকাসক্ত গ্রপ।
ওই গ্রপকে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দিয়েও মাফ পাননী অসহায় ওই পরিবারটি। বাকী ৭০ হাজার টাকা আদায় করতে এখন পরিবারের লোকজনকে অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখানোর পাশাপাশি প্রতিনিয়ত হুমকী ধামকী দিচ্ছেন তারা।

মুজিবনগর উপজেলার রশিকপুর গ্রামে এই চাঁদাবাজির ঘটনাটি ঘটেছে। এঘটনায় বাড়ির মালিক আলেক হোসেন বাদী হয়ে মুজিবনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। মুজিবনগর থানার উপপরিদর্শ (এসআই) ই¯্রাফিল ঘটনার তদন্ত করেছেন। তবে এখনো কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেননি।

ভুক্তভোগী মোনাখালি ইউনিয়নের রশিকপুর গ্রামের মৃতু বজু বিশ্বসের ছেলে আলেক হোসেন জানান, চলতি মাসের ২২ তারিখে আমার বাড়িতে এক নিকট আত্মীয় এসেছিলেন। সে (আত্মীয়)আমার বাড়িতে থাকা অবস্থায় রশিকপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে আব্দুল মতিন, আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে আরজ আলী, তাহাজ আলীর ছেলে আকামত আলী, জুমাদ আলীর ছেলে কুবাদ আলীসহ কয়েকজন তার বাড়িতে হানা দেয়। তারা মিথ্যা অভিযোগ তোলেন আমার আত্মীয় একজন চরিত্রহীন। তারা আমাদের বাড়ির লোকজনকে শালিস করে বিচার না হলে থানা পুলিশ দিয়ে তুলে নিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভয় দেখায়। এক পর্যায়ে আমার কাছ থেকে ১ লাখ টাকা দাবী করে। না দিলে মান ইজ্জত থাকবেনা বলে ভয় দেখায়। মান ইজ্জতের কথা ভেবে তাদের আমি ৩০ হাজার টাকা দিয়ে মাফ চাই। সেদিন ৩০ হাজার টাকা নিয়ে চলে গেলেও এখন আবারও ৭০ হাজার টাকা দাবী করছে তারা। তাদের দাবীকৃত টাকা দিতে না পারায় বাড়ির উপর এসে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো ছাড়াও হয়রানি করছে। এখন আমরা তাদের ভয়ে আতংকিত। প্রাণনাশের আশংকায় জীবন যাপন করছি।

মোনাখালি ইউনিয়ন পরিষদের রশিকপুর গ্রামের স্থানীয় ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বর) পালু জানান, বিষয়টি ২২ মে ঘটলেও আমি ঘটনাটি ২৬ মে জানতে পাই। পরে বিষয়টি স্থানীয় কোমরপুর পুলিশ ক্যাম্পে জানানোর পর কোমরপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আজম বিশ্বাস ও এসআই সেলিম রেজা ঘটনাস্থলে আসেন। পরে তারা বিষয়টি মুজিবনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। তার দেওয়া পরামর্শমত, ওই দিনই আলেক হোসেন মুজিবনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদী রাসেল জানান, এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ই¯্রাফিলকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। সে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সে বর্তমানে স্বাক্ষী দিতে গেছেন। আসলে আইনগত ব্যবস্থা শুরু হবে। তিনি আরও বলেছেন আজ রবিবার সকালের দিকে এ নিয়ে হট্টগন্ডগোল হচ্ছে শুনে আবারও ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে সিরাজুল ইসলাম এর আগে মাদকের মামলায় পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন। এছাড়া ওই গ্রæপের সবাই মাদকের সাথে জড়িত। তাদের ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে পারেনা।