মুজিবনগরে এসএসসি ফরম পূরণে হয়রানীর শিকার শিক্ষার্থীরা

মুজিবনগরে এসএসসি পরিক্ষার ফরম পূরণ করতে গিয়ে প্রধান শিক্ষক ইজারুল ইসলামের গাফিলতির কারনে হয়রানির শিকার হচ্ছে মুজিবনগর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কোমল মতি শিক্ষার্থীরা।

করোনা ভাইরাসের কারনে ২০২১ সালের এসএসসি পরিক্ষার ফরমপূরণে পরিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য অনলাইনের মাধ্যমে করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। এ জন্য ১১ই এপ্রিল সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে বোর্ডের ও প্রতিষ্ঠানের ফিস আদায়ের জন্য সোনালি ব্যাংকে হিসাব খোলার জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়। এবং ১৫ ই এপ্রিল এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত ব্যাংকের হিসাব নম্বর যাচায় করে Institute panal -এ আপলোড করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধান কে বলা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা সোনালি ব্যাংকের হিসাব নম্বর আপলোডে ভুলভ্রান্তি সংশোধনের জন্য ১৮ ই এপ্রিল পর্যন্ত ফরম পূরণ বন্ধ রাখা হয়। এবং ১৯ ই এপ্রিল থেকে ২৯শে এপ্রিল পর্যন্ত বিলম্ব ফি ছাড়ায় ফরম পূরণ এর সময় বৃদ্ধি করা হয়।

কিন্তুু ৬ দিন পার হয়ে গেলেও মুজিবনগর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইজারুল ইসলামের গাফিলতির কারনে প্রতিষ্ঠানের নামে সোনালি ব্যাংকের হিসাব নম্বর ঠিক না হওয়ায় ফরম পূরণ করতে পারছে না মুজিবনগর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিক্ষার্থীরা। যেখানে উপজেলার অন্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ শেষ পর্যায়ে সেখানে মুজিবনগর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিক্ষার্থীরা শুরুই করতে পারেনি ফরম পূরণ। বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণ এর বাকি আছে আর মাত্র ৪ দিন। দুঃচিন্তায় পরিক্ষার্থী সহ অভিভাবক বৃন্দ।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক কে বার বার বলা হলেও আজকেই ঠিক হয়ে যাচ্ছে, এখনিই ঠিক হবে, কোন সমস্য নেই, কাল থেকে ফরম পূরণ করতে পারবেন বলে বিগত ৬ দিন যাবত ঘুরাচ্ছেন অভিভাবক সহ পরিক্ষার্থীদের।

এ বিষয়ে মুজিবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইজারুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমস্যা টা আমাদের না ব্যাংকের। আমার যশোর বোর্ডের অনলাইনের একাউন্ট নাম্বার দিয়েছিলাম তারা ডিলেট করে ফেলেছে। গত বৃহস্পতিবার, শুক্রবার, শনিবার সরকারি ছুটি ছিল তাই রবিবার সকালে ব্যাংকে গিয়েছিলাম। ব্যাংক ম্যানাজার বললেন আপনাদের একাউন্ট নাম্বারে সমস্যা ছিল ওটি ইনএকটিভ হয়ে গেছিল আমি ঠিকঠাক করে দিচ্ছি। সকালে আমরা ঠিকঠাক করে বোর্ডের অনলাইনে দিয়ে এসেছি এখন দেখা যাক কখন ঠিক হয়।

এ বিষয়ে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলনা এখন জানলাম আমি প্রধান শিক্ষক এর সাথে কথা বলে বিষয়টি দেখছি।