মুজিবনগরে গৃহবধুর মৃত্যু নিয়ে রহস্য। ময়না তদন্ত করতে মরদেহ উদ্ধার

মুজিবনগরে শামীমা খাতুন (৪৫) নামের এক গৃহবধুর মৃত্যুকে কেন্দ্র রহস্য সৃষ্টি হওয়ায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ ।

আজ মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টার সময় মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শামীমা খাতুন মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জ গ্রামের আব্দুর রশিদ ওরফে ওসি’র স্ত্রী।

মুজিবনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) উত্তম কুমার জানান, শামীমা খাতুন আব্দুর রশিদের দ্বিতীয় স্ত্রী। আগের পক্ষের ২ ছেলে মেয়ে রয়েছে তারা। আব্দুর রশিদের সাথে বিয়ের পর তার এক মেয়ে। আজ সকালের দিকে মারা যাওয়ার পর শামীমা খাতুনের ছেলে আরিফ অভিযোগ করেছিলেন তার মায়ের উপর প্রায় নির্যাতন চালাতো তার স্বামী।

বিষয়টি সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ায় বিকাল ৬ টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

নিহতের ছেলে আল ইমরান ওরফে আরিফ হোসেন বলেন আমার মা স্ট্রোক করে মারা যেয়ে থাকতে পারেন। আমরা মুজিবনগর থানায় হাজির হয়ে মায়ের মরদেহ চাইলেও পুলিশ দেইনি।

স্থানীয়রা জানান, আহাম্মেদ আলী মাষ্টার মারা যাওয়ার পর শামীমা দুই সন্তান নিয়ে কেদারগঞ্জ গ্রামের আব্দুর রশিদের সাথে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বর্তমানে তাদের ঘরে সামীয়া খাতুন নামের ১৩ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। বেশ কিছুদিন যাবৎ আব্দুর রশিদের সাথে প্রায়ই তার ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক বেলাল হোসেন বলেন, হাসপাতালে সকাল ১০ টা ৩২ মিনিটের সময় নিয়ে এসেছিল তার স্বজনরা। কিন্তু হাসপাতালে পৌছানোর আগেই মারা গেছে সে। যে কারণে তাকে দেখা সম্ভব হয়নি। স্বজনরা মরদেহ নিয়ে চলে গেছে।

মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদী রাসেল বলেন এই মৃত্যুর ঘটনায় মুজিবনগর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।