মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মানিকনগর গ্রামে জমির দখল নিতে রাতে ১২ কাঠা জমির প্রায় ২৫০টি কলাগাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ফরজ আলী ও আরোজ আলী নামের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) মানিকনগর গ্রামের মৃত এরশাদ আলীর ছেলে সাত্তক আলী মুজিবনগর থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে সাত্তক আলী জানান, বুধবার (২৮ মে) ফরজ আলী ও আরোজ আলী বল্লভপুর মৌজার এস.এ ৭৪৭ নং দাগভুক্ত ১ একর ৩৪ শতক জমি জোরপূর্বক মাপজোক করে দখল করেন। তিনি ও তার ছোট ভাই সাদেক এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা অস্ত্র দেখিয়ে খুন ও জখমের হুমকি দেন। পরিস্থিতি খারাপ দেখে তারা ঘটনাস্থল থেকে সরে আসেন।
সাত্তক আলীর দাবি, উক্ত জমিতে তার প্রায় ১৫০০টি কলাগাছ ছিল। রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ২৫০টি কলাগাছ কেটে ফেলায় তার প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। প্রতিবাদ জানাতে গেলে অভিযুক্তরা পুনরায় প্রাণনাশের হুমকি দেন।
সংবাদকর্মী সরেজমিনে গিয়ে দেখেন, মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সের মসজিদের পেছনে প্রায় ১২ কাঠা জমির কলাগাছ গোড়া থেকে কেটে ফেলে রাখা হয়েছে।
অভিযুক্ত ফরজ আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি সরকারি চাকরিজীবী, বর্তমানে বান্দরবানে কর্মরত। কলাগাছ কাটার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। উল্টো তারা আমাদের জমি দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছে। জমির খারিজ-খাজনা আমাদের নামে। সম্প্রতি জমি মাপজোক করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে প্রমাণিত হয়েছে জমিটি আমাদের। সিদ্ধান্ত হয়, তারা দুই বছর ধরে জমি ব্যবহার করায় ফসলের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দুই লক্ষ টাকা দিতে হবে এবং তা নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখে দিতে হবে। কিন্তু টাকা না দিয়ে উল্টো নিজেরা গাছ কেটে আমাদের নামে দোষ চাপাচ্ছে। আমি যেহেতু দূরে আছি, সেখানে গিয়ে গাছ কাটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।”
এ বিষয়ে মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, “সাত্তক আলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”