মুজিবনগরে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন

মুজিবনগরে ওয়াসিম(২৬) নামের এক যু্বকের সাথে দির্ঘ ৭ বছর প্রেম করার পর বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে অনশন করেছে শিউলি খাতুন(১৯) নামের এক যুবতি। ।রবিবার ভোর রাত থেকে তার বাড়ির সামনে বসে আছে বলে জানিয়েছে শিউলি খাতুন।

এদিকে শিউলি খাতুন তার বাড়িতে অনশন করার পর থেকে ওয়াসিম গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রেমিক ওয়াসিম মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস বিশ্বিস পাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে।এবং প্রেমিকা শিউলি খাতুন একই গ্রামের ইনু বিশ্বাসের মেয়ে।

তাছাড়া ওয়াসিম ও শিউলি খাতুন একে অপরের প্রতিবেশি বলে জানিয়েছে স্থানিয়রা।

শিউলি খাতুন জানান, দির্ঘ ৭ বছর যাবত ওয়াসিম ও সে একে অপরকে ভালোবেসে আসছে। আমি ওয়াসিমকে বার বার বিয়ের কথা বললে ওয়াসিম সময় নিতে থাকে। এভাবে অপেক্ষা করতে করতে চলে যায় ৭ টি বছর।পরে যখন আমি বুঝতে পারি সে আমাকে বিয়ে না করে অন্য যায়গায় মেয়ে দেখছে তখন আমি তার ডাকে আজ ভোর রাতে তার বাসাতে যায়। তার বাসাতে যাওয়ার পর তার পরিবারের লোকজনের কথা শুনে আমাকে বিয়ে করতে নাখোজ করে। পরে আমার মোবইল নিয়ে আমাদের ৭ বছর চলাকালীন রিলেশনের যত ছবি, কথার রেকোর্ড ছিলো সেগুলো সব ডিলিট করে দেয়। এবং আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে বলে এখন বাসায় যা পরে ভেবেচিন্তে দেখবো কি করা যায়।

কেন সে ছেলের বাসার সামনে বসে আছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে সে জানায়, আমার এই মুখ নিয়ে আমি আর বাসায় যেতে পারবো না। আমি যখন তার বাড়িতে চলে এসেছি,তাকে বিয়ে না করা প্রযন্ত বাড়ি ফিরবো না।

এদিকে মেয়ের কথার ভিন্ন মত পোষন করে ছেলের মা জানান,আমার ছেলে ঢাকাতে চাকরি করে। সে আজ ৩ দিন আগে বাসায় এসেছে।আমার ছেলে তাকে ডাকেনি। সে নিজেই আজ সকালে বাসায় এসে আমার ছেলেকে বিয়ে করবে বলে দাবি করে।

মেয়ের সাথে তার ছেলের ৭ বছরের সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বাড়ি আর মেয়ের বাড়ি একই জায়গায়। প্রতিবেশি হিসাবে যেভাবে কথা বলার দরকার সেভাবেই দেখি আমার ছেলে কথা বলে।মেয়ের সাথে আমার ছেলের সম্পর্ক আছে কিনা আমি জানিনা। তবে যদি এরকম সম্পর্ক তাদের থেকে থাকে সেটা আমি কখনই মেনে নেবো না। মেয়ের আমার পছন্দ না, আমি আমার ছেলের সাথে কখনই ঐ মেয়ের বিয়ে দেবো না। তারপরেও যদি আমার ছেলে ঐ মেয়েকে বিয়ে করে তবে আমার বাড়িতে তাদের আশ্রয় হবে না।

মেয়ের অনশনের বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয়রা জানায়, ছেলে ও মেয়ের দির্ঘদিন ধরে সম্পর্ক আছে এটা আমরা শুনেছি। তবে মেয়ে যে কখন ছেলের বাড়ি চলে এসেছে সেটা আমরা কেউ জানিনা। সকালে ঘুম থেকে উঠে জানতে পারি ছেলের বাড়ি মেয়ে চলে এসে বিয়ের দাবিতে অনশন করেছে।

এ ঘটনার বিষয়ে ওয়াসিমের কাছে জানতে চাওয়া হলে সম্পর্কের কথা নাখোজ করে তিনি বলেন, আমি তার সাথে দির্ঘদিন ধরে কথা বলি এটা সত্য কথা। কিন্তু তার সাথে আমার প্রেমের কোন সম্পর্ক নেই।তাছাড়া তাকে আমি ফোন করে আমার বাসায় আসতেও বলিনি। সকালে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম, ঘুমন্ত অবস্থায় সকালে সে আমার ঘরে এসে আমাকে ডাকাডাকি শুরু করে। ঘুম থেকে উঠতেই সে আমাকে বলে বিয়ের কথা। কিন্তু আমি তাকে বিয়ে করতে না চাইলে সে বলে বিয়ে না করলে আমার বাড়ি থেকে সে যাবে না। পরবর্তিতে এসব বিষয়ে ঝামেলা শুরু হলে আমি বাড়ি থেকে চলে আসি।

-মুজিবনগর অফিস