মুজিবনগরে সরস্বতী খাল থেকে কচুরিপানা অপসারণ

মুজিবনগর উপজেলা নিবার্হী অফিসার সুজন সরকারের আরও একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ রিভার মিলিং মেশিনের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে সারাবছর কচুরিপানা অপসারণ মাধ্যমে সরস্বতী খালকে পুনরুজ্জীবিত করে রাখার।

নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার বৃহস্পতিবার বিকেলে এই বিষয়ের উপর একটি ফেসবুক পোষ্ট করেছেন ফেসবুকের পোষ্টটি নিচে তুলে ধরা হলো।

মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলায় কৃষির মান উন্নয়নসহ জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সরস্বতী খাল পুনঃখনন করা হয়েছে।

কিশোরের অবাধ সাঁতার, কৃষকের কৃষিকাজ বা স্থানীয়দের মাছ ধরার জন্য এই খাল উপযোগী হয়ে উঠেছিলো। কিন্তু, কিছুদিনের মধ্যেই এখানে বাড়তে থাকে কচুরিপানা।

একটা সময় অবস্থা এমনই হয় যে, সরস্বতী খালে কোন ব্যক্তির নৌকায় চলাচল বা কিশোরের সাঁতার কাটা বা যেকোন ব্যক্তির মাছ ধরার জন্য তা অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এই কচুরিপানা অপসারণে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে আমরা পরামর্শ নিয়ে।

বিভিন্নভাবে সমাধানের উপায় খোঁজা হচ্ছিলো আবারও এগিয়ে আসলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি। তিনি ভিয়েতনামে প্রচলিত ‘রিভার মিলিং মেশিন’ এর সন্ধান দিলেন।

স্থানীয়ভাবে বললে, এটি একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা, যার সামনে রয়েছে ব্লেড/পাতের তৈরী দুটি পাখনা; যখন এই ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি চলতে থাকে, তখন নৌকার সামনে থাকা কচুরিপানা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়।

মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসক, মেহেরপুর ড. মোহাম্মদ মনসুর আলম খানের তত্ত্বাবধানে উপজেলা প্রশাসন স্থানীয়ভাবে ইঞ্জিনচালিত ঐ নৌকা/রিভার মিলিং মেশিন তৈরী করে।

পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় ম্যানুয়ালি সরস্বতী খাল থেকে কচুরিপানা অপসারণ করা হয়েছে। বর্তমানে খালটি কচুরিপানা মুক্ত। রিভার মিলিং মেশিন দ্বারা এখন নিয়মিতভাবে সদ্য জন্ম নেওয়া কচুরিপানাগুলোকে অপসারণ করা সম্ভব হবে।আশা করা যায়, নিয়মিত তদারকি ও রিভার মিলিং মেশিনের মাধ্যমে সরস্বতী যে উদ্দেশ্যে পুনঃখনন করা হয়েছিল, সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হবে।