মেহেরপুরের মুজিবনগর সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে লিফলেট বিতরণকে কেন্দ্র সহকর্মীদের পিটুনি ও ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলিল লেখক রাজু আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তি জয়পুর গ্রামের গোলাম হালসোনার ছেলে রাজু আহম্মেদ। তিনি সাব রেজিস্ট্রার অফিসে সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত একজন দলিল লেখক (লাইসেন্স নং-৩৫)। আহত রাজুর অভিযোগ, জমি রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণের পর তা অন্য মুহুরিরা ছিঁড়ে ফেলেন। এতে তিনি প্রতিবাদ জানিয়ে বিষয়টি মেহেরপুর জেলা সেনাবাহিনী ও তাঁর সরাসরি কর্মকর্তাকে জানান।
আজ বৃহস্পতিবার একটি প্রশিক্ষণ চলাকালীন দুপুরের খাবারের সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শহিদুল মুহুরি, জমির মুহুরি ও তাদের সহযোগীরা রাজুর ওপর অতর্কিত হামলা চালান। রাজুর দাবি, তিনি আশেপাশের মুহুরিদের কথাবার্তা ও আচরণে আগে থেকেই শঙ্কিত ছিলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত দেখে পাশের একটি স্কুলে আশ্রয় নেন। কিন্তু হামলাকারীরা বাইরে থেকে লোক ডেকে এনে স্কুলের ভেতরে ঢুকে আমাকে পিটিয়ে ও ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে এতে আমি গুরুতর আহত হয়ে অচেতন হয়ে পড়ি। পরে উপস্থিত এক ব্যক্তি তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত দলিল লেখক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি এবিষয় সম্বন্ধে কিছুই জানিনা। আমি প্রশিক্ষণ শেষে আমার ঘরে বসে খাচ্ছিলাম এ সময় রাজু আমার ঘরে এসে মুহুরী হযরতকে গালিগালাজ করতে থাকে, আমি নিষেধ করলে আমার উপর উত্তেজিত হয়ে আমাকে গালিগালাজ করে এবং আমাকে আচমকা ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয় এ সময় আশেপাশের মুহুরিরা প্রতিবাদ করলে সে পালিয়ে যায় পরে কি হয়েছে আমি কিছুই জানিনা। আমার বিষয়ে সে যদি কিছু বলে থাকে সব মিথ্যা কথা বলেছে।
এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনার তদন্ত এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন আহত রাজু আহম্মেদ ও তার পরিবার।
ঘটনার বিষয়ে মুজিবনগর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক কমিটির সভাপতি আফাজ উদ্দিন মুহুরীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ঘটনার সময় তিনি নামাজে ছিলেন এবং এই ঘটনার বিষয় তিনি কিছুই জানেন না।
ঘটনার বিষয়ে মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন কিন্তু এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাননি লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।