মুজিবনগর মোনাখালীতে স্বামী-সংসার হারিয়ে দিশেহারা কিশোরী

মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামে স্বামী সংসার হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এক কিশোরী। মেহেরপুর সদর উপজেলা রাজিব নামের এক যুবক যৌতুক দিতে না পারায় ঐ কিশোরীকে জোরপূর্বক তালাক দিতে বাধ্য করেছে।

সেই সাথে বিয়ের সময় ২ লাখ ১০ হাজার টাকা নিলেও তালাকের সময় সেটা ফেরোত দেওয়ার কথা থাকলেও দেয়নি। তালাকের তিন দিনের মাথায় পূর্ব থেকে সম্পর্ক থাকা চুয়াডাঙ্গা থেকে এক মেয়েকে নিয়ে এসে রাজিব বিয়ে করে।

এ বিষয়ে অসহায় কিশোরীর পিতা আরফিন মোল্লা জানান, আবাবাস আলীর ছেলে রাজিবের দাদা দাদির বাড়ি মেহেরপুর সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামে হলেও সে ছোট থেকে মোনাখালী বসবাস করে আসছে।

সেখানেই বছর দেড়েক আগে আমার মেয়ে রজনীর সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ে সময় সেনাবাহিনীর চাকরি পাবে বলে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা রাজিবকে দেওয়া হয়। পরে সে চাকরি না পেয়ে ট্রাক চালানো শুরু করে। এসময় সে বিভিন্ন নেশার সাথে জড়িয়ে পড়ে। বিয়ের কয়েক মাসের মাথা আমার মেয়েকে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় সে প্রচুরৃ মারধর করতো। বিভিন্ন সময় আমাদের কাছে টাকা দাবি করতো। দিতে না পারলে আমার মেয়েকে মারতো।

কিশোরী রজনী বলেন, বিভিন্ন সময় টাকার দাবিতে কারনে অকারনে আমাকে মারধর করতো। আমাকে বিয়ে করার পর সে অন্য একটা মেয়ের সাথে পরকিয়া করতো। কিছু বলতে গেলে আমাকে বেদড়ক মারধর করতো। একরাতে সে আমাকে মেরেফেলতে চেয়েছিল। আমার গলায় ফাস লাগিয়ে ধরে ছিল পরে কোনমতে আমি বেচে গিয়ে বাড়িতে খবর দিই।

গত জুন মাসের ২৪ তারিখে আমার বাড়ি থেকে লোকজন আসলে রাজিব তাদের বলে আমাকে তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের হতে হবে। এসব কথাই রাজিবের পরিবারের লোকজন সম্মতি জানায়ে আমাকে জোর শুরু করে।

আমি আমদের দেওয়া টাকার কথা বললে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে রাজিবের পিতা ও রাজিব বলে, তোদের টাকা পেয়ে যাবি আগে তালাক দে। কোন উপায় না পেয়ে তাদের চাপের মুখে আমি তালাক দিতে বাধ্য হয়।
কিন্তু আজা পর্যন্ত আমাদের সে কোন টাকাই ফেরত দেয়নি। টাকা চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা করে ও হুমকি দেয়। এ বিষয়ে অনেক জায়গায় ঘোরাঘুরি কর্ওে লাভ হয়নি।

এ বিষয়ে রাজিব সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রজনীরা আমার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়। রজনী নিজে আমাকে তালাক দিয়েছে। টাকার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, রজনীরা আমার কাছে টাকা পাবে , চাকরি পাবো বলে তাদের কাছে থেকে টাকা নেওয়অ হয়েছে। এখন আমার কাছে কোন টাকা নেই। টাকা পেলে তাদের টাকা শোধ করে দেবো।

পরকিয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি আমতা আমতা করে বলেন, আমার সাথে কারও প্রেমের সম্পর্ক ছিল না । আমার তালাকের ১৫ দিন পর আমি বিয়ে করেছি।

:মতুর্জা ফারুক রুপক