মুজিবনগর হাসপাতালে মহিলা ওয়ার্ডের টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগী

দির্ঘদিন ধরে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে মুজিবনগর সরকারী স্বাস্থ কমপ্লেক্সের মহিলা ওয়ার্ডের টয়লেট। দুইটি ওয়ার্ডের মহিলা রুগীদের একমাত্র সম্বল পুরুষদের টয়লেট। এতে করে বিপাকে রয়েছে ডায়রিয়া রুগীরা।

বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, টয়লেটের বাস্তব রুপ। পুরুষ ওয়ার্ডের টয়লেট ঠিক থাকলেও মহিলা ওয়ার্ডের দুইটি টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগী অবস্থায় পরে রয়েছে। এমনকি বেসিনও রয়েছে জাম। বাথরুমে যাবার মত কোন অবস্থায় নেই মহিলা রুগিদের। এতে করে কষ্ট করে পুরুষ ওয়াঢেডর টয়লেট যেয়ে রুগিদের প্রয়োজনীও চাহিদা পূরণ করতে হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুইটি ওয়ার্ডে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ২৮ জন রুগী ভর্তি আছে। এর মধ্যে ডায়রিয়া রুগী রয়েছে ৪ জন। কিন্তু এই ২৮ জন রুগীদের টয়লেট করার জন্য একমাত্র সম্বল হয়ে পরেছে পুরুষ ওয়ার্ডের টয়লেটটি।

হাসপাতালের কয়েকজন ষ্টাফ জানান, প্রায় ৬ মাসেরও অধিক টয়লেট দুইটি আবদ্ধ অবস্থায় পরে রয়েছে। এতে করে কষ্ট করে মহিলাদের পুরুষ ওয়ার্ডের টয়লেটে যেতে হয়। বাইরে টয়লেট করতে যেয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়।

কয়েক মাস আগে হাসানুজ্জামান লাল্টুসহ স্থানীয়রা টয়লেটটি ঠিক করে দিয়ে গেলেও আবারো একই অবস্থায় পরে রয়েছে।
মহিলা ওয়ার্ডের রুগিদের স্বজনরা জানান, আমরা এসে থেকেই দেখছি টয়লেট আবদ্ধ অবস্থায় পরে আছে। ডায়রিয়া রুগি নিয়ে বাইরের টয়লেটে যাওয়া খুবই কষ্টকর।

হাসানুজ্জামান লাল্টু বলেন, দির্ঘদিন ধরে টয়লেট আবদ্ধ অবস্থায় পরে রয়েছে। আমি কয়েকবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নলেজে দিয়েছি। এমনকি আমার ব্যাক্তিগত খরচে দুইবার টয়লেট ঠিক করে দিয়ে এসেছি। আসলে একজন রুগির জন্য বাথরুম অবশ্যই গুরুত্বপূর্ন। কিন্তু বার বার বলার পরও কোন সুরোহা হয় না। অবশ্যই দ্রুত টয়লেট সহ প্রয়োজনীও জিনিসগুলো ঠিক করার প্রয়োজন।
মুজিবনগর স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাঃ মুজিবুর রহমান জানান, মুজিবনগরে আমার পোষ্টিং হওয়ার আগে থেকেই টয়লেট আবদ্ধ অবস্থায় পরে আছে। তবে আমরা কয়েকবার টয়লেট ঠিক করেছি। আসলে সমস্যাটা হলো রুগিরা সবাই সচেতন না, তারা টয়লেটে যেয়ে ময়লা আবর্জনা প্যানের ভিতরে ফেলে রেখে আসে। এতে করে ঠিক করার পরও পাইপ জাম হয়ে যায়। কয়েকমাস আগে ভালেভাবে টয়লেটটি পরিষ্কার করার জন্য সিভিল সার্জনের কাছেও আবেদন করা আছে।