মেহেরপুরের গাংনীতে ইউপি চেয়ারম্যানের মহৎ উদ্যোগ

আল-আমীন,

মেহেরপুরের গাংনীতে সরকারী ভাতা ভোগীদের খাবার দিচ্ছেন ধানখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান। গত কয়েকদিন যাবৎ বয়স্ক বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ক্ষুধা নিবারণের লক্ষে নিজ অর্থায়নে প্রায় ২ হাজার ৫শত জনের মাঝে দুপুরের খাবার বিতরণ করছেন তিনি।ধানখোলা ইউনিয়নের চাঁন্দামারী গ্রামের বয়স্কভাতা প্রাপ্ত আক্কাস আলী বলেন,তার বাড়ি থেকে ব্যাংক অন্তত ১৫ কি:মি: দুরে হওয়ার কারনে ভাতার টাকা নেওয়ার জন্য আমার মত অনেকেই সকালে বাড়ি থেকে বের হয়। মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম শেষ করতে ও সোনালী ব্যাংকের কার্যক্রম শেষ করে অনেক সময় টাকা পেতে দুপুর গড়িয়ে যায়। ব্যাংকের পার্শবর্তী এলাকায় খাবারের হোটেল না থাকায় না খেয়ে কষ্ট করতে হয়। ইউপি চেয়ারম্যান মো: আখেরুজ্জামান ভাতাভুগীদের অনাহারের কষ্ট দেখে নিজ উদ্যোগে সকলের মাঝে খাবার বিতরণ করছেন। দুপুরের খাবার খেয়ে বিশ্রাম নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারি।

সানঘাট গ্রামের বয়স্কভাতা ভোগী কুটিয়ারা খাতুন জানান,চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান তাদের খাবারের ব্যবস্থা করার কারনে দুপুরে আর তাদের না খেয়ে থাকতে হয়না। দুপুরের খাবার খেয়ে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারি।সোনালী ব্যাংক গাড়াডোব শাখার ব্যবস্থাপক সাহারুল ইসলাম বলেন, ভাতা নেওয়ার জন্য সকাল থেকে ধানখোলা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে বয়স্ক বিধবা ও প্রতিবন্ধীরা আসে। মোবাইলে একাউন্ট খোলা ও অনেকেই এক সাথে আসে একারনে টাকা পেতে অনেক সময় দুপুর গড়িয়ে যায় এজন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো: আখেরুজ্জামান নিজ উদ্যোগে ভাতাভোগীদের খাবার বিতরণ করেছে এটা প্রশংসনীয় ।স্থানীয় সমাজ সেবক একরামুল হক বলেন,যেদিন ব্যাংক থেকে ভাতা দেয়া হয় সেদিন ইউপি চেয়ারম্যান মো: আখেরুজ্জামানের সহযোগিতায় স্থানীয় যুবকরা ভাতাভোগীদের জন্য রান্না করে খাবার প্যাকেট তৈরি করে বিতরণ করেন।ধানখোলা ইউপি চেয়ারম্যান মো: আখেরুজ্জামান জানান,ধানখোলা ইউনিয়নের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের দুরত্ব অন্তত ১৮/২০ কি:মি:। গাড়াডোব সোনালী ব্যাংকে এ ইউনিয়নের অন্তত ২ হাজার ৫শত বয়স্ক বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা উত্তোলন করতে আসে। তাদের অনেকের সাথে শিশুরাও আসে। অনেক মানুষ এক সাথে ভাতা নিতে আসায় টাকা পেতে অনেক সময় দুপুর গড়িয়ে যায়। দুপুরের খাবারের জন্য ভাতাভোগী সহ তাদের সাথে আসা শিশুরাও কষ্ট করে। ব্যাংকের সাথেই আমার বাড়ি হওয়ার কারনে ভাতাভোগী ও তাদের সাথে আসা শিশুদের জন্য দুপুরের খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।