মেহেরপুরে তিন ভাই হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামির আত্মসর্ম্পণ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সীমান্তবর্তি ধলা গ্রামের তিন ভাই হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আছির উদ্দীন (৪২) আদালতে আত্মসমর্পন করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ আগষ্ট) দুপুরে মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাসের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে, বিজ্ঞ বিচারক তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আছির উদ্দীন গাংনী উপজেলার রাধাগোবিন্দপুর ধলা গ্রামের মৃতু হোচেন আলীর ছেলে।

চাঞ্চল্যকর তিন ভাই হত্যা মামলাটি ২০১৬ সালের ১৯ মে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক কেএম মুসা এক জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

এই মামলার ১ নং এজাহার নামীয় আসামি দুখু বাহিনীর প্রধান দুখুকে মৃত্যুদন্ড, আছির উদ্দীন ও তোজাম্মেল হককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। এছাড়া আছির উদ্দীন ও তোজাম্মেল হককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় তিনজনই পলাতক ছিল। পরে আছির উদ্দীন গোপনে মালেশিয়া পালিয়ে যান।

উল্লেখ্য, চাঁদার দাবী করে না পেয়ে ২০০৮ সালের ৩১ আগষ্ট রাধাগোবিন্দপুর ধলা গ্রামের মোসলেম আলীর ছেলে কাথুলি ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালিন সদস্য (মেম্বর) ইন্দাদুল হক, বড় ভাই জাহিদুল ইসলাম রুহুল আমিন ওরফে উলামিনকে মধ্যরাতে ঘর থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় তুলে এনে উঠানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে চলে যায়। বাহিনী প্রধান দুখুর নেতৃত্বে প্রায় ৩০/৪০ জন দূর্বত্ত এই নৃশংস হত্যাকান্ডে অংশ নেয় বলে এলাকাবাসি জানান।

এঘটনার পরদিন নিহত জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী রেনুকা খাতুন বাদি হয়ে দুখু বাহিনী প্রধান মিনহাজ উদ্দিন দুখু, তোজাম্মেল, আছিম উদ্দিন, আব্দুল মালেক নাহারুল ইসলাম, আজিজুল হক, সাবদার আলী, কাবুল ইসলামসহ ৩২ জনকে এজাহার নামীয় আসামি ও ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

গাংনী থানার মামলা নং ১, তারিখ ০১/০৯/২০০৮। জিআর মামলা নং ৩৬২/২০০৮, সেশন মামলা নং ৭৮/২০১০, ধারা ৩০২/৩৪ পেনাল কোড।

গাংনী থানার এস আই মোরাদ আলী ও শফিকুল ইসলাম মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলায় ৪০ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন