মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদী ইউনিয়নের নতুন দরবেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বৃষ্টির পানি জমে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
এলাকাবাসীর একমাত্র খেলার মাঠটি এই বিদ্যালয়ের মাঠ হওয়ায় স্কুল শেষে গ্রামের শিশুরা এখানেই খেলাধুলা করে থাকে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সঠিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই মাঠে হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে যায়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, প্রতিদিন সকালে বাচ্চাদের ক্লাসে নেওয়া ও ছুটির সময় বের হওয়া দুটোই এখন কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাঠজুড়ে পানি জমে থাকায় পায়ে কাদা লেগে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছে। এতে পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এবং রোগজীবাণু ছড়ানোর ঝুঁকি বাড়ছে।
এলাকার অভিভাবক ও স্থানীয়রা জানান, নতুন দরবেশপুরে খেলার জন্য এ মাঠটি ছাড়া আর কোনো উন্মুক্ত স্থান নেই। বাচ্চারা খেলতে না পারায় তারা হতাশ হয়ে পড়ছে।
স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী খন্দকার ওভি (১০) বলেন, সকালে আমরা স্কুলে আসি আর বিকেল ৪টায় ছুটি হয়। এর মাঝে টিফিন থাকে। খেলার মাঠ ভালো থাকলে তোমরা খেলা করতে পারতাম, কিন্তু এখন আর পারছি না। যাতায়াতের সময়ও পানির ভেতর দিয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। এর ফলে আমার অনেক সহপাঠী অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তারা ক্লাসে উপস্থিত হতে পারছে না। আমাদের এই সমস্যার দ্রুত সমাধান চাই।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোছা: খাইরুন নেছা বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে নতুন দরবেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছি। প্রতি বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই বিদ্যালয়ের মাঠ ও প্রাঙ্গণে হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে যায়। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবাই চরম ভোগান্তিতে পড়ে।
আমরা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সমস্যার সমাধানে যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করে আসছি। উপরমহল থেকেও আমাদের জানানো হয়েছে যে খুব শীঘ্রই এ সমস্যার সমাধান হবে। তবুও আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি জোর অনুরোধ জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, দ্রুত মাঠের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ও মেরামত করা জরুরি। সময়মতো পদক্ষেপ নেওয়া না হলে মাঠটি সম্পূর্ণভাবে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় সরকার এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সমন্বিত উদ্যোগে মাঠের পানি নিষ্কাশন ও সংস্কারকাজ দ্রুত শুরু করলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকার শিশু-কিশোরদের বড় একটি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।