মেহেরপুরের বারাদিতে ৩য় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের শিকার

মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদি শিমুলতলা গ্রামে ৯ বছরের এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণে দৌলত হোসেন (৬৫) নামে এক ব্যাক্তির নামে থানায় অভিযোগ। ধর্ষণের শিকার শিশু বর্তমানে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী।

ধর্ষণের শিকার শিশুর হতদরিদ্র দিনমজুর বাবা বলেন, গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় বাড়ির সামনে আমার মেয়ে খেলা করছিলো। এসময় আমার বাড়ির পাশের দৌলত হোসেন তাকে ডাকে। এরপর সে আমার মেয়ের মুখ চেপে ধরে পাশের বেগুন ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় সে আমার মেয়ের গলায় হাসুয়া ধরে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং একথা কাউকে বলতে নিষেধ করে।

আমি জুম্মার নামাজ পড়ে এসে বিষয়টি জানতে পারি। মেয়েকে নিয়ে মেহেরপুর সদর থানায় আসতে চাইলে গ্রামের স্থানীয় মাতব্বররা আমাকে ও আমার পরিবারকে আটকিয়ে রেখে মিমাংসার জন্য চাপ দেয়। শনিবার সন্ধ্যায় আমার মেয়ের রক্তক্ষরণ শুরু হলে আমি তাকে নিয়ে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে আসি ও মেহেরপুর সদর থানায় মামলা করি।

মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ দারা খান জানান, এ বিষয়ে মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং-৭/৩০৯/২০২১, তারিখ ০৯/১০/২০২১। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।