মেহেরপুরের বোসপাড়ায় জলাবদ্ধতায় বিপর্যস্ত চার পরিবার

মেহেরপুর শহরের বোসপাড়ায় জলবদ্ধতার কারণে চার পরিবার বিপর্যয়ের মুখে। বাড়ির পাশে এক মাত্র চলাচলের রাস্তা থাকলেও তা অল্প বৃষ্টির কারণে হাটু পানিতে পরিনত হয়। যা চলাচলের জন্য অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। এতে করে বিভিন্ন সাপ,বিছা, পোকা মাকড়ের ভয়ে জীবন যাপন করছে চারটি পরিবার।

শনিবার দুপুরে মেহেরপুর সদর পৌর এলাকার ২ নং ওয়ার্ড বোস পাড়া ঘুরে দেখা যায় জলবদ্ধতা জীবন যাপন করছে চারটি পরিবার।

মৃত আকবর আলীর ছেলে রাজ্জাক জানান, আমরা জলবদ্ধতায় ২০ বছর ধরেই ভুগছি বেশি সমস্যা হয় বর্ষার মৌসুমে। যেখানে হালকা বৃষ্টি হলেই হাটু পানিতে বাড়ির উঠান পর্যন্ত ডুবে যায়। আমরাসহ আশে পাশের চারটি পরিবার মিলে পৌর মেয়র, দুই নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কে জানালে সবাই প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু এখনো প্রর্যন্ত কেউ এগিয়ে আসেনি। এই জলবদ্ধতার কারনে আমরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মূখিন হয় যেমন দীর্ঘ দুই, তিন মাস ধরে আমাদের আশে পাশের প্রতিবেশিরা জলাবদ্ধতার কারনে আমাদের বাড়িতে কেউ বিপদে এগিয়ে আসে না। যদি পরিবারের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে তবে তাকে প্রতিবেশির ছাদ পাড়ি দিয়ে নিয়ে যেতে হয়।

এর চাইতেও সমস্যা আমাদের বাড়ির কারেন্ট বিল, পানির বিল, ডিস বিল সহ বিভিন্ন বিলের কাগজ অন্য কারো কাছে রেখেই চলে যায়। আমরা যদি নামাজ পড়তে যায় তবে বাড়ির ছাদ বেয়ে অন্য বাড়ির ছাদ দিয়ে যেতে হয়|

প্রতিবেশি মিলন জানান, আমাদের রাস্তার পাশেয় ড্রেন আছে কিন্তু রাস্তা ছাড়া ড্রেন উচু হওয়ার কারণে এই জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এই বিষয় টি বিশ বছর থেকে পৌর সভায় ও দুই নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর দের জানালে সবাই প্রতিশ্রুতি দেয় রাস্তাটি উচু করে করে দিবে ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও করে দিবে কিন্তু এখনো পর্যন্ত কেও এগিয়ে আসে না।

আরও এক প্রতিবেশি আবু সাইদ জানান, আমার বাড়ির পাশে জলবদ্ধতা যে কারণে প্রচুর পুকা মাকড়ের উৎপত্তি হচ্ছে। বিশেষ করে আমার ছোট মেয়ে আছে তার জন্য মসার হাত থেকে বাঁচাতে ছোট মশারীও কিনে এনেছি, তার পরেও মশার হাত থেকে আমার বাচ্চাকে রক্ষা করতে পারছি না। তার চাইতেও বড় কথা আমার প্রতিবেশি আব্দুর রাজ্জাক ভাই কিন্তু তার পরিবারসহ আমার বাড়ির ছাদ দিয়ে চলাচল করে। কারণ যখন উনি অফিসে যায় তখন তো আর হাটু পানির ভিতর দিয়ে আসতে পারে না তাই আমার বাড়ির ছাদ দিয়ে চলাফেরা করে।

এ ব্যাপারে ২নং নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আল মামুন মেহেরপুর প্রতিদিনকে জানান, বিষয়টি এর আগেও আমাকে জানানো হয়েছে। আগামীকাল আব্দুর রাজ্জাকের জলাবদ্ধতার ভোগান্তির ব্যাপারটি নিয়ে কাজ শুরু করব। প্রথমে রাস্তার পাশে যে ড্রেন ব্যবস্থা আছে সেটা পরিষ্কার করাবো তারপরও যদি পানি নিষ্কাশন না হয়, তবে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।