মেহেরপুরের ভৈরব নদ এখন কচুরিপানা ও পাট জাগের দখলে

কোটি কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে পূর্ণঃখননকৃত মেহেরপুর ভৈরব নদে কচুরিপানায় ভরে যাওয়ায় ভৈরব নদ তার প্রকৃত জৌলুস হারাচ্ছে। একাধিক স্থানে পাট জাগ দেওয়ায় ভৈরব নদের পানির রং বিবর্ণ হয়ে গন্ধ ছড়াচ্ছে।এক সময়ের প্রমত্তা ভৈরব নদের বুকে বড় বড় জাহাজ যাতায়াত করত।

কালের বিবর্তনে ভৈরব নদ বিলীন হয়ে সেখানে ধান, পাট সহ বিভিন্ন ধরনের শাক সবজির আবাদ শুরু হয়েছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের প্রচেষ্টায় ভৈরব নদ পূর্ণঃখনন করা হয়।মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার রশিকপুর থেকে শুরু করে মেহেরপুর সদর উপজেলা হয়ে গাংনী উপজেলার কাথুলী পর্যন্ত ভৈরব নদ পূর্ণঃখনন করা হলে ভৈরব নদের আসল চেহারা যেমন ফুটে উঠেছিল, ঠিক তেমনই ভৈরব নদের দেশি মাছের স্বাদ আবারো মেহেরপুর বাসী গ্রহণ করতে শুরু করেছিল।

বর্তমানে বর্ষার পূর্ণ মৌসুমে ভৈরব নদ তার পূর্ণ যৌবন ফিরে পাওয়ার কথা থাকলেও বর্ষার মৌসুমে ভৈরব নদ যেন পূর্ণ যৌবন হারিয়ে বার্ধক্যে উপনীত হয়েছে। কেননা ভৈরব নদের বুকে এখন কচুরিপানা আর আগাছায় ভরে গেছে। যে সময় ভৈরব নদের রূপ রসে ভরে থাকার কথা, ঠিক সেই মুহুর্তে ভৈরব নদ এখন কচুরিপানার আবর্তে পড়ে রয়েছে।এছাড়া মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজাপুর, রাধাকান্তপুর সহ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে অবৈধভাবে পাট জাগ দেয়ার ফলে পানি দিয়ে পচা গন্ধ বের হতে শুরু করেছে। পানির দুর্গন্ধ এবং কচুরিপানার ফলে অনেক স্থানে মাছ মরে যেতে দেখা গেছে। ভৈরব নদের বুকে জমে থাকা কচুরিপানা অপসারণ করা সহ পাট জাগ দেওয়া বন্ধ করার জোর দাবি উঠেছে।