মেহেরপুরের শহরের মায়ের হাসি ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশন করার পর তাহেরা খাতুন (২৭) নামের এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় সিজারিয়ান অপারেশনের পর প্রসুতির অবস্থার অবনতি হলে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রসূতি তাহেরা খাতুন মেহেরপুর সদর উপজেলার চাঁদবিল গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী একরামুল হকের স্ত্রী। তবে নবজাতক শিশু কন্যাটি সুস্থ আছে।
এর আগে তাহেরা খাতুনের ২টি পুত্র সন্তান রয়েছে। মাকে হারিয়ে তিনটি অবুঝ শিশু এতিম হয়ে গেছে। প্রসূতি তাহেরা খাতুনের মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকার শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
চাঁদবিল গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসি একরামুল হকের ভাই একলাস আলী বলেন, “বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তার ভাবী তাহেরা খাতুনকে শহরের কাসারিপাড়াস্থ মায়ের হাসি ক্লিনিকে ভর্তি করি। দুপুর ৩ টার দিকে ডা. জুসি (রুমানা হেলালী জুসি) সিজারিয়ান অপারেশ করান এবং কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। কিছুক্ষণ পরে রোগীকে বেডে দেওয়া হয়। বেডে দেওয়ার পরপরই রোগী খিঁচুনি দিয়ে ওঠে। অবস্থা খারাপ হতে থাকলে ক্লিনিকের ভাড়া করে দেওয়া এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সন্ধ্যার দিকে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কুষ্টিয়া পৌছানোর আগেই পথের মধ্যে রোগীর মৃত্যু হয়। পরে আমরা লাশ ফিরিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসি। পরদিন শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে জানাযা ও দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। ”
এ বিষয়ে মায়ের হাসি ক্লিনিকের স্বত্ত্বাধিকারী মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু বলেন, “প্রসূতি মৃত্যুর কোন ঘটনা আমার ক্লিনিকে ঘটেনি। আমরা রোগী রেফার্ড করেছি কুষ্টিয়া মেডিকেলে কি হয়েছে আমরা জানি না।”
বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশনের মেহেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “মায়ের হাসি ক্লিনিকে প্রসূতি মৃত্যুর বিষয়টি আমাদের কানে এসেছে। এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পেলে অথবা ঘটনা সত্য হলে আমরা সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।”
তবে প্রসূতি মৃত্যুর খবর জানেন না মেহেরপুরের স্বাস্থ্য বিভাগ। কথা হলে মেহেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ বলেন, “ওই প্রসূতির মৃত্যুর খবর আমরা জানি না। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”