মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড শ্যামপুর হঠাৎ পাড়ায় কয়েকশো বছরের সরকারি রাস্তা দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ স্থানীয় ফারুক হোসেন ও রুহুল আমীনের বিরুদ্ধে। রাস্তার দু’পার্শ্বে পাকা বাড়ি নির্মাণ করায় রাস্তাটি সংকুচিত হয়ে পড়েছে। ফলে গ্রামের কৃষকরা মাঠের ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না।
গ্রামবাসীরা জানান, শ্যামপুর হঠাৎ পাড়ায় একটি ২০/২৫ ফিট সরকারি রাস্তা হিসেবে গ্রামবাসীরা ব্যবহার করতো প্রায় শত বছর ধরে। ওই রাস্তায় পার্শে রুহুল আমীন ও ফারুক হোসেন শ্যামপুরের জনৈক এক ব্যাক্তির কাছ থেকে ৫ শতাংশ করে জমি ক্রয় করেন। তবে জমি জরিপ না করেই ক্ষমতার দাপটে জনগণের একমাত্র রাস্তার অধিকাংশ জমি দখল করে পাকা বাড়ি নির্মাণ করেন ফারুক হোসেন। ফারুক হোসেনের দেখাদেখি রুহুল আমিনও বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। এত রাস্তায় ব্যবহ্রত বেশির ভাগ জমি দখল হয়ে গেছে।
বিষয়টি নিয়ে গ্রামে দফায় দফায় শালিশ বৈঠক হলেও জমির দখল ছাড়তে রাজি নন ফারুক হোসেন ও রুহুল আমীন।
সরকারি রাস্তার জমি উদ্ধারে স্থানীয় আবুল কালাম আজাদ একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেন। কিন্তুু ক্ষমতার দাপটে ইউনিয়ন পরিষদের নোটিশ অমান্য করেন রুহুল আমীন ও ফারুক হোসেন।
পরে আবারও ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করেন আবুল কালাম আজাদ। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সার্ভিয়ার ও গ্রাম পুলিশ দিয়ে জমি জরিপের ব্যবস্থা করেন। সে মোতাবেক আজ বুধবার সকালে জমি জরিপ করেন সার্ভিয়ার। সে সময় গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। বৃদ্ধ রমজান আলী বলেন, আমাদের বাপ দাদাদের আমলের রাস্তা এটি। গ্রামের সব মানুষ মাঠের ফসল তোলা ও চলাচল করে। অথচ রুহুল ও ফারুক রাস্তার জমি অর্ধেক দখল করে নেয়। আবুল কালাম আজাদ জানান, গ্রামের শহিদুল, জামিরুল, বাবু ও লিখন জমি দখল করেছে এবং আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে আমি শংকিত।
ফারক হোসেন বলেন, আমরা যখন বাড়ি নির্মাণ বা প্রাচীর নির্মাণ করেছি তখন মাপা হয়নি। অনুমানের ওপর করেছি। এখন দেখছি রাস্তার জমি। তবে সরকারি জমি হলে আমি তা ছেড়ে দেবো।
স্থানীয় ইউপি সদস্য (সাবেক) ফাহিমা খাতুন জানান, রাস্তাটি শত বছরের পুরাতন। অথচ দখল হয়ে যাচ্ছে। জনস্বার্থে বেদখল হওয়া রাস্তা উদ্ধার হওয়া প্রয়োজন।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি জানান, এমন কোনো বিষয়ে আমার কাছে অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।