
ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ পেল দেশের আরও সাতটি পণ্য। নতুনভাবে স্বীকৃতি পাওয়া পণ্যগুলো হলো- মেহেরপুরের সাবিত্রী মিষ্টি, হিমসাগর, কলা, নেত্রকোনার বালিশ মিষ্টি, ফুলবাড়িয়ার লাল চিনি, কালীগঞ্জের তোয়ালে ও ফরিদপুরের পাট। এ নিয়ে বাংলাদেশে জিআই পণ্যের সংখ্যা দাঁড়াল ৬২টি।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এসএমই মেলাকে ঘিরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের হাতে জিআই সনদ তুলে দেন শিল্পসচিব মো. ওবায়দুর রহমান। একই অনুষ্ঠানে জিআই পণ্য ব্যবহারে ‘জিআই ট্যাগ’ লোগোও উন্মোচন করা হয়। এখন থেকে জিআই স্বীকৃত পণ্যের ওপর এ লোগো ব্যবহার করতে পারবেন উদ্যোক্তারা।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এই মেলায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা নিজেদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করছেন। মেলাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হয় ‘এসএমই শিল্প বিকাশে মেধাসম্পদের গুরুত্ব ও বাণিজ্যিক সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার। এতে সভাপতিত্ব করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাকসুদা নূর।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধে শিল্পসচিব ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘এসএমই খাতকে এগিয়ে নিতে হলে মেধাসম্পদ সৃষ্টির পাশাপাশি এর সুরক্ষা অত্যন্ত জরুরি। উদ্যোক্তাদের মেধাসম্পদের বাণিজ্যিকীকরণ করতে হবে, তা না হলে লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকবে না।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমান, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।