
মেহেরপুরের ৪নং ওয়ার্ডে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ৪নং ওয়ার্ডের শেখপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
জাতীয়তাবাদী মহিলা দল মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি সায়েদাতুন্নেসা নয়নের সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণ।
অর্থ বিষয়ক সম্পাদক রুপালি খাতুনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও মেহেরপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাসুদ অরুন বলেন, ১৭ বছর আপনাদের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার প্রিয় মার্কা ধানের শীষে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি। বারবার আমরা চেষ্টা করেছি যেন দিনের আলোতে ভোট হয় যেখানে ভোটকেন্দ্রে কোনো মাস্তান থাকবে না, আমি নিরাপদে গিয়ে আমার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারব এবং আমার অধিকার আদায় করতে পারব। কিন্তু সেই সুযোগ কি আমরা ১৭ বছরে পেয়েছি? কখনোই পাইনি। পাইনি বলেই ১৭ বছর আমরা লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি তারেক রহমানের নির্দেশে, বিএনপির নেতৃত্বে।
এই বিএনপি এখানকার সবচেয়ে প্রিয় সংগঠন আমরা জানি, কারণ ২০০১ সালে আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করেছিলেন। এখানকার অনেক মা-বোন আছেন যারা আমার বাবাকেও ভোট দিয়ে এমপি বানিয়েছিলেন। আমরা ১৭ বছর সেই সুযোগ পাইনি আমরা রাজপথে ছিলাম, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সংগ্রামে ছিলাম, তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথে সংগ্রামে ছিলাম।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে আপনাদের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ঘর থেকে বের করে দিলেন, সেই বাড়ি ভেঙে দিলেন এবং মিথ্যা মামলায় বছরের পর বছর তাকে কারাগারে আটকে রাখলেন, এমনকি চিকিৎসার সুযোগও দেননি। আপনার ছোট ছেলে নির্বাচনের সময় প্রাণ হারিয়েছেন, আর বড় ছেলে আমাদের নেতা তারেক রহমান ১৭ বছর ধরে বিদেশে বসে দল পরিচালনা করছেন। এবার জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার সময় এসেছে। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, গর্ভকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, গরিব মানুষের চাল, পরিবার কার্ড সবকিছু সবার জন্য নিশ্চিত করা হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর বিশ্বাস বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। দীর্ঘ ১৬ বছর আপনারা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেননি। জাতীয় সংসদ, পৌরসভা, ইউনিয়ন সব জায়গায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জোর-জুলুম করে তাদের নেতাদের বসিয়েছে। আমরা ১৬ বছর শেখ হাসিনার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, আওয়ামী লীগের নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে মেহেরপুরে মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে লড়াই করেছি।
আমরা অনেকেই জেল খেটেছি, অনেক মা-বোন কারাদণ্ড ভোগ করেছেন কারো দুই বছর, কারো এক বছর, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে। শত জুলুম-নির্যাতন উপেক্ষা করে আমরা রাজপথে লড়াই করেছি, এবং গত বছর জুলাই-আগস্ট মাসে এক রক্তাক্ত আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করেছি।
বলা হয়, বাংলাদেশের মালিক জনগণ। কিন্তু এই জনগণ যারা দিন আনে দিন খায় তারা বছরের পর বছর ভোটাধিকার ও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। রাষ্ট্রের সেবা থেকেও বঞ্চিত হয়েছে। অথচ দেশের মালিক হয়ে গেছে কিছু কালো টাকার মালিক, কিছু সন্ত্রাসী, এবং আগেকার দিনের তথাকথিত এমপিরা।
এছাড়াও এসময় জেলা মহিলা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বেদানা আক্তার পলি, সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহিমা খাতুন, মহিলা দল নেত্রী ফিরোজা আক্তার পপি, বিউটি, রঞ্জনা, মল্লি, কল্পনা, শেফালী, তানিয়া, লিনা, মারিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


