মেহেরপুরে অনলাইনে মেশিনারীজ ব্যবসায়ী দিপুর সংবাদ সম্মেলন

একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করেছে দেলোয়ার হোসেন ওরফে দিপু নামের এক মেশিনারীজ ব্যবসায়ী।

গতকাল দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি ।

তিনি বলেন, আমি অন্যের কার্ড দিয়ে সিম তুলেছি, এই কথাটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে ফাঁসানোর জন্য এগুলো করা হয়েছে। আসল ঘটনাটা হল আপনারা সবাই জানেন যে, আমার অনলাইনের আউট সোর্সের বিজনেস আছে এবং আমার চারটা ইউটিউব চ্যানেল এবং একটা ফেসবুক পেজ আছে। যেগুলোর মাধ্যমে দিয়ে আমরা সারা বাংলাদেশে মেশিনারিজ প্রোডাক্ট সেল করে থাকি।

সেক্ষেত্রে বাইরে থেকে যারা আমাদের ভিডিওগুলো দেখে মেশিন অর্ডার দেয়। তারা সবাই আমাদেরকে নগদ বিকাশ অথবা রকেটের মাধ্যমে কিছু টাকা এডভান্স করে। যেমন পাঁচ হাজার, দশ হাজার, পনেরো হাজার ইত্যাদি আবার অনেকে ব্যাংকের মাধ্যমেও পাঠায়। আমরা সবাই জানি যে পার্সোনাল নগদ বিকাশ এবং রকেটে ২৫ হাজারের বেশি টাকা পাঠানো যায় না এবং মাসে দেড় লাখ টাকার বেশি লেনদেন করা যায় না। এক্ষেত্রে আমাদের প্রায় ১৫ থেকে ২০ টা নগদ বিকাশ এবং রকেটের পার্সোনাল একাউন্ট লাগে। যেগুলো দিয়ে আমরা টোটাল মাসটাকে কভার করতে পারি। যাতে লিমিটের কোন প্রবলেম না হয় কিন্তু আমাদের যে নগদ একাউন্টগুলো খোলা আছে তাতে আমাদের মাস কভার হচ্ছিল না। এর আগে আমার, মায়ের, বাবার ও স্ত্রীর আইডি কার্ড দিয়ে একাউন্ট খোলা হয়েছে।

একটা আইডি কার্ড দিয়ে একটার বেশি একাউন্ট করা যায় না। আমার ফুফাত ভাই সাইফুল ইসলামের আইডি কার্ড দিয়ে নগদ একাউন্ট খুলি। এবং সে অসুস্থ থাকায় ফল খাওয়ার জন্য ৫শ টাকা দিই। এটা আশে পাশের মহিলা জানতে পেরে আমার কাছে ৫শ টাকা করে দাবি করে। আমার পুরনো অভ্যাসের কারণে তাদের তিনজনকে ৫শ করে টাকা দিই। যে টাকা দেওয়ায় আমার জন্য কাল হয়েছে। এই ভুলবোঝাবুঝিতে গ্রামের বেশ কিছু মহিলা থানায় গিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। এর সুষ্ঠ তদন্ত চাই।