মেহেরপুর জেলায় একটি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের শতাধিক এজেন্ট সিম ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। মূলত অস্বাভাবিক লেনদেন ও অনলাইন জুয়ার আর্থিক লেনদেনে এজেন্ট সিম গুলো ব্যবহৃত হয় বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়াতে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ফলে অনলাইন জুয়াতে ব্যবহৃত বিপুল অর্থ আটকে যাওয়াসহ সিম গুলোর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় ঢাকা সিআইডি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউ ইউনিটের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২৭ মে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যম কর্মীদের জানানো হয়েছিল, সদ্য জারি হওয়া সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ অনুসারে অনলাইন জুয়া ও বেটিংয়ের বিরুদ্ধে সারা দেশে জোরদার অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মূলত গত ২১ জানুয়ারি মেহেরপুর প্রতিদিনসহ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রকাশের পর মেহেরপুর জেলা কেন্দ্রিক সারা দেশে অনলাইন জুয়া পরিচালনা নেটওয়ার্কের বিষয়টি সামনে উঠে আসে। এরপর থেকে অনলাইন জুয়ার ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করে বিভিন্ন মহলের মানুষ। এতে তৎপর হয়ে ওঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহ সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। সরকারের একাধিক উপদেষ্টাও অনলাইন জুয়া নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। এরই ফলশ্রুতিতে সম্প্রতি পাশ হওয়া সাইবার সিকিউরিটি অধ্যাদেশে প্রথমবারের মতো অনলাইন জুয়া সংক্রান্ত ধারা যুক্ত করা হয়। অনলাইন জুয়াকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর মাঠে নামে সিআইডির অর্গানাইজ ক্রাইম বিভাগের একাধিক বিশেষ টিম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা সিআইডির একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘মেহেরপুর জেলাতে বিভিন্ন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের ব্লক করা এজেন্ট সিম গুলির অধিকাংশই বিকাশের। এর বাইরে আরো প্রায় সহস্রাধিক এজেন্ট সিম সন্দেহজনক ও অস্বাভাবিক লেনদেনের কারণে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। জুয়ার সাথে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেলে তৎক্ষণাৎ সেগুলো বন্ধ করা হবে এবং সিমের মালিক ও পরিচালনাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। অতীতে আইনের দুর্বলতার কারণে দুষ্কৃতকারীরা ছাড় পেয়ে গেলেও এবার আর সেই সুযোগ পাবে না। ‘