
মেহেরপুরে আউশ ও আমন ধানের ক্ষেতে ব্যাপক হারে মাজরাসহ বিভিন্ন পোকা আক্রমণ করেছে। পোকা দমনে ব্যর্থ হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। সপ্তাহে একাধিকবার বিষ প্রয়োগ করেও পোকা দমন করা সম্ভব হচ্ছেনা। তীব্র গরম ও অনিয়মিত বৃষ্টিপাতের কারণে পোকার আক্রমণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
তবে কৃষি বিভাগ বলছে, অতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ না করে পরিমিত ব্যবহার ও আলোক ফাঁদ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি সংরক্ষণ করতে বলা হচ্ছে ক্ষতিকর পোকা খাদক পাখিকেও।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলার ৫৫ হাজার হেক্টর কৃষি জমির মধ্যে প্রায় ২২ হাজার হেক্টরে আউশ এবং ২৭ হাজার হেক্টরে আমন ধান চাষ হয়। চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই অনিয়মিত বৃষ্টিপাত ও তীব্র গরমে বাড়ছে মাজরাসহ বিভিন্ন পোকার উপদ্রব। যার ফলে আউশ ও আমন ধানের ক্ষেতে বেড়েছে মাজরাসহ বিভিন্ন পোকার আক্রমণ। কৃষকরা জমিতে সপ্তাহে দুবার কীটনাশক প্রয়োগ করেও পোকার আক্রমন ঠেকাতে পারছেন না। দিনের বেলায় কীটনাশক প্রয়োগ করলেও রাতের আধারে ধানের পাতা খেয়ে ফেলছে পোকায়।
এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষীরা। পোকার আক্রমণ ঠেকাতে না পারলে ধানে ব্যাপক ফলন বিপর্যয়ের আশংকা করছেন চাষীরা। আউশ এবং আমন আবাদে চলে কৃষকদের সংসার। পোকার এই আক্রমণ না থামলে জেলার আউশ ও আমন ধানে বড় রকমের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এ অবস্থায় জেলায় খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে আশংকা তাদের।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: ইমরান হোসেন বলেন, জেলায় বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারনে এবং একই জমিতে বারবার একই ফসল উৎপাদন করাই এবছর আমন ও আউশ ক্ষেতে পোকার উপদ্রব বেড়েছে। তবে, পরিমিত পরিমাণ কীটনাশক প্রয়োগ, আলোক ফাঁদ ব্যবহার ও ক্ষতিকারক পোকা খাদক পাখি সংরক্ষণসহ কৃষকদের নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশাকরি আমাদেও পরামর্শ ফলো করছে পোকার আক্রমন কমে আসবে।