আজ পহেলা আষাঢ়। সকালটা শুরু হয় রোদের তীব্রতা আর ভ্যাপসা গরম নিয়ে। মানুষের মাঝে ছিল অসহনীয় অস্বস্তি। রোদ আর গরমে ক্লান্ত হয়ে ওঠে কর্মজীবী মানুষ। ঈদের দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে অফিসপাড়াতেও ভিড়। কপালের ঘাম মুছতে মুছতে অফিসের প্রয়োজনে আসেন অনেকেই। ক্লান্তি ও গরমের মাঝে হঠাৎ হালকা মেঘে ঝরতে শুরু করে বৃষ্টি। পরে মেহেরপুরের আকাশ ঢেকে যায় কালো মেঘে।
মেহেরপুরে আষাঢ়ের শুরুর দিনেই দেখা মিলেছে বৃষ্টির। আজ রোববার দুপুর ১টায় কালো মেঘে ঢেকে যায় মেহেরপুরের আকাশ। থেমে থেমে প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলে বৃষ্টি। দীর্ঘসময়ের তীব্র রোদ আর ভ্যাপসা গরমের পর এই বৃষ্টি স্বস্তি এনে দিয়েছে মানুষের মাঝে। স্বস্তি নিয়েই কাজে বের হয়েছেন শ্রমজীবী মানুষ।
গাংনী বাজারের ভ্যানচালক রমজান আলী বলেন, “অন্যান্য বছর ঈদে অনেক টাকার ভাড়া হয়। প্রতিদিন ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত। এবার রোদ আর গরমে মানুষ বের না হওয়ায় ২০০-৩০০ টাকার বেশি হয়নি। ঈদের দশ দিনেও ভালো যাত্রী পাইনি।”
“আজ হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় বিকেলে রাস্তায় বের হয়েছি”—এমনটাই জানাচ্ছিলেন ৫০ বছর বয়সী ভ্যানচালক জমিরুল হক।
আজ দুপুর ১২টায় মেহেরপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সারা দেশের ন্যায় খুলনা বিভাগের মেহেরপুরেও বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছিল চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তর।