মেহেরপুরে করোনা আতঙ্কে প্রভাব পড়ছে গণ পরিবহন ও দিন মজুরের উপর

করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে মেহেরপুরের সাধারণ মানুষের মধ্যে। যদিও এখন পর্যন্ত মেহেরপুরের কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তারপর অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে জনমনে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় কিছুটা হলেও এর প্রভাব পড়েছে। অন্যদিনের তুলনায় গতকাল শনিবার মেহেরপুরের প্রায় সব জায়গায় লোক সমাগম ছিল তুলনা মূলক অনেক কম। দোকানপাট স্বাভাবিক নিয়মে খোলা থাকলেও ক্রেতা সমাগম ছিল বেশ কম।

মেহেরপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসন থেকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার আহবান জানানো হচ্ছে বার বার। সেই সাথে করোনা মোকাবেলাই সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করা করেছে বলে দাবি স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের।

এ পর্যন্ত সারা দেশে ২৪ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে এবং ২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩ জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছে।

মেহেরপুরে কোন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর না পাওয়া গেলেও ১১৫ জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জনকে ১৪ দিন পার হওয়ায় রিলিজ দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে নতুন করে যে সব প্রবাসী মেহেরপুরে প্রবেশ করছে তাদের সনাক্ত করার চেষ্টা করছে জেলা প্রশাসন।

মেহেরপুরের করোনা আতঙ্কের প্রভাব পড়েছে গণ পরিবহন ও দিন মজুরের উপর। শহরের বাস টার্মিনাল ও অটো ইজবাইক স্ট্যান্ড গুলোতে গিয়ে দেখা যায় অনেকটা ফাঁকা। দুরপাল্লার বাস গুলোতেও যাত্রী ছিল খুবই কম। এছাড়াও দিন মজুর যারা আছে তাদের কাজের অভাব দেখা দিয়েছে। অনেক দিন মজুরকে কাজ না পেয়ে বাড়ি ফিরে যেতে দেখা যায়।

এদিকে করোনা আতঙ্কে বাজার মূল্য স্বাখাবিক রাখতে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে প্রশাসনের কর্মকর্তারা। গতকাল শনিবার মেহেরপুরের বিভিন্ন জায়গায় নির্বাহী অফিসার অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. নাসির উদ্দিন মেহেরপুরে করোনা নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়াও তিনি জানান, মেহেরপুরে কোন করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে ১১৫ জন প্রবাসীকে হোম কোরায়েন্টিনে রাখা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আতাউল গনি জানান, করোনা মোকাবেলাই আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করেছি। যারা বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরছে তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।

এছাড়াও করোনা আতঙ্কে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে তিন উপজেলার নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে তারা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে।